নয়া দিল্লি: বাড়িতে না বলেই চলছিল 'প্রেমকথা'। গ্রামের লোকেরাও যাতে টের না পায় তার জন্য ফন্দিও এঁটেছিলেন প্রেমিকা। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য পুরো গ্রামের বিদ্যুৎ কেটে দিতেন তিনি। যাতে অন্ধকারে ঢুবে যায় গ্রাম। আর এই সুযোগে তিনি প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন।                                               


ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেত্তিয়ারে। অন্ধকারের আড়ালে প্রেমিক রাজকুমারের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রেমিকা প্রীতি এমনটাই করে যেতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  প্রীতি প্রতিবারই এটি করতেন কিন্তু অবশেষে গ্রামবাসীদের হাতে দম্পতি ধরা পড়ার পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।                                          


প্রীতি কুমারীর সঙ্গে রাজকুমারের সম্পর্ক নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে পশ্চিম চম্পারণের দুটি গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। গ্রামবাসীরা আসলে কী কারণে ঘটছে তা বোঝার আগেই ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছে গ্রামে ঘন ঘন বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বিরক্ত হয়ে গ্রামবাসীরা বিদ্যুৎ দফতরের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও লাভ হয়নি। গ্রামবাসীরা সঙ্কটের পিছনে কারণ খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং পরের বার গ্রামে লাইট নিভে গেলে তারা রাজকুমার এবং প্রীতিকে একসঙ্গে ধরে ফেলে।


গ্রামবাসীরা এরপর যুবককে মারধর করে। অভিযোগ তার পরে সে তার দলকে ডেকে গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালায়। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রাজকুমারকে গ্রামবাসী লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। 


আরও পড়ুন, তারকনাথকে জল নিবেদন করতে কেন নিমাই তীর্থ ঘাটেই ছুটে আসেন পুণ্যার্থীরা?


পরে দুই গ্রামের লোকজন উদ্যোগী হয়ে রাজকুমারকে প্রীতিকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন। অবশেষে স্থানীয় একটি মন্দিরে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় বলে জানা গিয়েছে।