আবীর দত্ত, কলকাতা: আন্তঃরাজ্যে মাদক পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত। মনিপুর থেকে উত্তরবঙ্গ হয়ে মাদক পাচারের হওয়ার পথেই পর্দাফাঁস করল বেঙ্গল এসটিএফ। প্রসঙ্গত, মাদক উদ্ধারের ঘটনা অবশ্য নয়। গত ৩১ জুলাই-ই যেমন তেঘরিয়া ও খিদিরপুর এলাকা থেকে ১০ কোটিরও বেশি টাকার মাদক উদ্ধার করেছিল শুল্ক দফতর। আটক করা হয় দুই মাদক পাচারকারীকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রথমে তেঘরিয়া এলাকায় অভিযান চালায় শুল্ক দফতর। উদ্ধার হয় ৯৯৫ গ্রাম হেরোইন। এক পাচারকারীকে আটক করা হয়। তাকে সঙ্গে নিয়েই খিদিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় আরও ১ হাজার ৬২৭ গ্রাম হেরোইন। উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারমূল্য আনুমানিক ১০ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ মাদক আনা হয়েছিল, কোথায় পাচারের ছক ছিল, খতিয়ে দেখতে শুরু করে শুল্ক দফতর।  কিন্তু এবার যে পদ্ধতিতে মাদক পাচার হয়েছে, তাতেই চমকে উঠেছেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফের সদস্যরা। 


অপরদিকে, মাদক পাচার রুখতে এর আগেও বড় সাফল্য এসটিএফ-র। অভিনব উপায়ে মাদক পাচারের (Drug Dealing) চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। পার্সেলের মোড়কে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে শহরের এক পোস্ট অফিসে মাদক আনানো হয় বলে অভিযোগ।  পুলিশ সূত্রে দাবি, পোস্ট অফিস থেকে পার্সেল ডেলিভারি নিয়ে বেরোন মাত্রই কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার ২ পাচারকারী। উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। পোস্ট অফিসে পার্সেল (Post Office Parcel) আনিয়ে, মাদক পাচারের চেষ্টার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। পার্সেল নিয়ে বেরোতেই হাতেনাতে গ্রেফতার ২ পাচারকারী। উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকার মাদক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মাদক পাচারের ছক বানচাল করল কলকাতা পুলিশের STF। শহরের কোথায়, কাদের এই মাদক পাচারের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের? ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে STF। 


পুলিশ সূত্রে দাবি, গোয়া থেকে মাদকের পার্সেল ক্যুরিয়রের মাধ্যমে কলকাতার পোস্ট অফিসে আনানো হয়েছিল। সম্ভবত কোনও রেভ পার্টিতে (Rev Party) এই মাদক সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। কিন্তু, সেই মতো ডেলিভারি নিতে গিয়েই ফাঁদে পড়ে ২ পাচারকারী (Drug Dealer)।পুলিশ সূত্রে দাবি, পার্সেল আনানো হয়েছিল এন্টালি থানা এলাকার ট্যাংরা সাব পোস্টঅফিসে। বুধবার পোস্ট অফিস থেকে সেই পার্সেল ডেলিভারি নেয় তিলজলার ২ বাসিন্দা। পোস্ট অফিস থেকে বেরোতেই তাদের গ্রেফতার করে STF। গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ জুনেদ ও ফৈয়াজ আলমকে। পরে জুনেদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় আরও মাদক।


আরও পড়ুন, টেট পরীক্ষা দিতে গেলেন আন্দোলনকারীরাও, বিক্ষোভে অনড়় চাকরিপ্রার্থীর দল


উল্লেখ্য, এর আগেও আগে বিপুল অঙ্কের মাদক-সহ (drug) গ্রেফতার (arrest) হয় ২ যুবক (youth)। পুলিশ (police) জানায়, উদ্ধার হওয়া মাদকের পরিমাণ প্রায়  ১ কিলোগ্রাম। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মালদহের ইংরেজবাজার থানার মানিকপুর এলাকায় অভিযান চালায় এসটিএফ (STF)। তখনই প্রায় ১ কেজি ব্রাউন সুগার (brown sugar) উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশের দাবি, ওই মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। সম্ভবত কালিয়াচকের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সেগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল। মালদহের বাইরে কোথাও পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। তবে তার আগেই গোপন সূত্রে খবর পায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। মাদক পাচার কারবারি সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে এক জনের বাড়ি কালিয়াচক থানার বাথরপুরে, অন্য জন ইংরেজবাজারের কাদিগ্রামের বাসিন্দা। এখনও দুজনের নাম  জানায়নি পুলিশ। তবে ধৃতদের দুজনেরই বয়স তিরিশের মধ্যে।