আবির দত্ত, কলকাতা: ফের ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ। দমদমে নাগেরবাজার থানা এলাকায় হানা দিয়ে ৩ মহিলা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। চটজলদি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত বলে দাবি পুলিশ সূত্রে। চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


কীভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে? 


প্রথমে ফোন করে চটজলদি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ। ফাঁদে পা দিলে, প্রসেসিং ফি বাবদ একাধিকবার অগ্রিম টাকা দাবি। টাকা পেলেই, ঋণ না দিয়ে উধাও! কল-সেন্টারের আড়ালে, এভাবেই প্রতারণা চক্র চলছিল বলে অভিযোগ। শনিবার সেখানে হানা দিয়ে, ৩ মহিলা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। 


আরও পড়ুন, মহালয়ায় শুভেন্দু- দিলীপের ছবিতে মালা দিয়ে বাবুঘাটে তর্পণ মদন মিত্রের


পুলিশ সূত্রে খবর, নাগেরবাজারে স্কাইলাইন সলিউশন নামে ওই কল সেন্টারের আড়ালে চটজলদি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে, প্রতারণা চক্র চলছিল। শনিবার পুলিশের অভিযানে, ধৃতদের থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে সিমকার্ড, ল্যাপটপ, ওয়াইফাই ফাইবার-সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম। এই চক্রের জাল কতদূর ছড়ানো? আরও কেউ কি জড়িত? সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।                                                                        


তবে কেবল ঋণ নয়। চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এমন ভুয়ো ঘটনা ঘটেছে। চিকিত্সক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে অভিনব কৌশলে প্রতারণার অভিযোগ। কীভাবে পাতা হয়েছে প্রতারণার ফাঁদ?অভিযোগ, নামী চিকিত্সকদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ নেওয়া হত টাকা। কিউ আর কোড স্ক্যান করা মাত্র অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় টাকা। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষের অভিযোগ, তাঁর রোগীদের ক্ষেত্রেই এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে।                                                                


পাশাপাশি, মুকুন্দপুর এলাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তরফেও পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, সেখানে আধা সেনা পরিচয়ে ফোন করে বলা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য ৫০ জনের মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে। অ্যাডভান্সের টাকা পাঠানোর জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছে কিউ আর কোড চাওয়ায় সন্দেহ হয়। পরে দেখা যায় গোটাটাই ভুয়ো। শহরে নতুন প্রতারণা চক্রের হদিশ মেলায় বাড়ছে আতঙ্ক।