কলকাতা: গ্রুপ C-র (Group C) চাকরিহারাদের তালিকায় উঠল শাসক ঘনিষ্ঠদের নাম।  নিয়োগে দুর্নীতি, হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশে আজই চাকরিচ্যুত হয়েছেন 'অযোগ্য' ৭৮৫জন। গ্রুপ সির চাকরিহারাদের তালিকায় তৃণমূল বিধায়ক-পুত্র, ভাই থেকে প্রাক্তন কাউন্সিলরদের নাম এসেছে।


  এসএসসির চাকরিহারাদের তালিকায় নাম উঠেছে হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যের। এসএসসির চাকরিহারাদের তালিকায় রয়েছেন বারাসাতের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর। এখানেই শেষ নয়, সেই তালিকায় আরও রয়েছেন মন্দিরবাজারের তৃণমূল বিধায়ক-পুত্র, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই-ও। প্রসঙ্গত, নিয়োগে বেলাগাম দুর্নীতি (Recruitment Scam), নবম-দশম, গ্রুপ ডির পরে এবার গ্রুপ সি তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে।৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (HC Justice Abhijit Ganguly)। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গ্রুপ সি-তে চাকরি পেয়েছিলেন ২০৩৭ জন। আর এবার গ্রুপ সি তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। মূলত ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগেই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। 


শুধুমাত্র অযোগ্যদের নম্বর বাড়ানোই নয়, কমানো হয়েছিল যোগ্যদের নম্বরও। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছিল। এসএসসির (SSC) জমা দেওয়া হলফনামা দেখে বিস্ময়প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। চলতি মাসের শুরুতে আদালতে কমিশনের আইনজীবীর দাবি করছিলেন, সেইসময় কমিশনে থাকা ব্যক্তিরা অযোগ্যদের নিয়োগ করার জন্য এমনটা করে থাকতে পারেন।  একেবারে ফাঁকা OMR শিট । প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অংশে একটা কালির আঁচড় পর্যন্তও নেই। SSC-র গ্রুপ ডি মামলায় এমনই শূন্য পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর গাজিয়াবাদের মূল্যায়নকারী সংস্থার হার্ডডিস্ক থেকে জাদুবলে কমিশনের ওয়েবসাইটে হয়ে গিয়েছিল ৪০-এর বেশি।  গ্রুপ সি-র নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় উঠে এসেছিল কারচুপিরই আরেক রূপ।


আরও পড়ুন, মিড ডে মিলে টিকটিকির পর এবার চালে পোকা !


অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করতে, এবার যোগ্য প্রার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে। এমনই ঘটনা জানিয়ে হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছিল খোদ স্কুল সার্ভিস কমিশন(School Service Commision)। চলতি মাসের শুরুতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি ছিল। সেখানে OMR শিট বিকৃতি নিয়ে আদালতে হলফনামা জমা দেয় SSC। তা দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ময়প্রকাশ করে বলেন, OMR মূল্যায়নকারী সংস্থা NYSA-র সার্ভারে একজন চাকরিপ্রার্থীর নম্বর ৪০। কিন্তু কমিশনের সার্ভারে তা ১০ । এটা কী করে সম্ভব? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। উত্তরে SSC-র আইনজীবী বলেছিলেন, সেইসময় কমিশনে থাকা ব্যক্তিরা অযোগ্যদের নিয়োগ করার জন্য এমনটা করে থাকতে পারেন।