কলকাতা: মোমিনপুরকাণ্ডে (Mominpore) সুকান্ত আটক হতেই রাজ্য বিজেপির পার্টি অফিস, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের উপরে বসে পড়েন এদিন সজল ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ। উল্লেখ্য, মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা।  দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসার জেরে চলে বোতল ছোড়াছুড়ি থেকে ইটবৃষ্টিও। উত্তেজনা ছড়ায় ওয়াটগঞ্জ ও একবালপুর থানা এলাকায়। একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে যেতে চাওয়ায় আটক হন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এরপরেই মোমিনপুরকাণ্ডে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন সজল ঘোষ, মহম্মদ সেলিম।


এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, আমরা লালবাজার অভিযান করব। হয় আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে লালবাজার যেতে দেওয়া হোক, নইলে আমরা এখানে বসে থাকব। পাশাপাশি অপরদিকে বাম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, আমরা গোটা দেশে যেমন দেখেছি, গুজরাটে, রাজস্থানে, মধ্যপ্রদেশে,  খোদ দিল্লিতে, উত্তরপ্রদেশে যা ঘটেছে, আজকে এখানে তাই ঘটছে।  রথ যাত্রার সময়, গুজরাটে যেমন দেখেছি, রাজস্থানে, মধ্যপ্রদেশে, উত্তরপ্রদেশের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে অ্যাকশন রিপ্লে হল ! গোটা রাজ্যের মানুষ দাঙ্গার জন্য প্রস্তুত না। তাই দুর্নীতি নিয়ে অনেক বড় প্রশ্ন, তা যে ঝাণ্ডা নিয়েই করুক !


প্রসঙ্গত, বাইশের শুরুতে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার একটি সাক্ষাতকারে হজরত মহম্মদ নিয়ে বক্তব্য়ে সারাদেশে বিতর্কের ঝড় ওঠে। যার জেরে উত্তাল হয় একাধিক রাজ্য। হিংসা এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, নৃশংসার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। প্রভাব পড়ে পশ্চিমবঙ্গেও। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেও, হিংসা রুখতে রীতিমত কালঘাম ছোটে প্রশাসনের। আর এবার ফের পুজোর মরশুমে এহেনকাণ্ডে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই মুখ খুললেন সজল, সেলিমরা।


আরও পড়ুন, 'ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দেওয়া উচিত', মোমিনপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক সুকান্ত


শনিবার মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শা-র কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা। চিঠিতে একবালপুর থানায় তাণ্ডবের অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে, বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। আজ সোমবার মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনাস্থলে যেতে চাওয়ায় সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে পুলিশ।


এদিন চিংড়িঘাটা মোড়ে আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। ডিসি ইস্ট গৌরব লালের সঙ্গে কথা হয়  সুকান্ত মজুমদারের। শেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও তাঁর দুই সঙ্গীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। এই পরিস্থিতিতে, এদিন রাজভবনেও দরবার করে বিজেপি।  শুভেন্দুর নেতৃত্বে, বিধানসভা থেকে মিছিল করে রাজভবনে যান বিজেপির বিধায়করা। সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারির প্রতিবাদে, কলকাতার জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।