কলকাতা: মদন মিত্রর (Madan Mitra) প্রশংসা করতে গিয়ে বেলাগাম তৃণমূল সাংসদ। এবার তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভের সুর প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Prasun Banerjee) গলায়। মমতা-র মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রসূন। এই ইস্যুতে এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। 


  এটা মদন মিত্রের প্রতি ভালবাসা নয়: শমীক ভট্টাচার্য


এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এটা মদন মিত্রের প্রতি ভালবাসা নয়, আনুগত্য পেশ করা নয়, এটা পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়া জগতের স্বার্থে কোনও সার্বিক বিবৃতি নয়, এই বিবৃতি প্রমাণ করছে, যে তৃণমূলের  শেষের সেদিন আর বেশি দূরে নেই। তৃনমূলের সাংসদ বিধায়করা বুঝতে পারছেন, শেষের দিন এসে গিয়েছে। সারা বাংলার জনরোষ আছড়ে পড়ছে বিভিন্ন জায়গায়। বাড়িতে বাড়িতে যারা চাকরি প্রার্থী , যারা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা টাকা ফেরৎ চাইছেন। কাটমানি ফেরৎ চাইছেন। তৃণমূলের এক নেতা, অন্যনেতার নামে তথ্যদি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তুলে দিচ্ছেন।তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে জাহাজ ডুবন্ত, যাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ-এও প্রায় যুগের একবারে শেষদিকে চলে গিয়েছে, তাঁরা এই ধরণের বিবৃতি দিচ্ছেন।' প্রসঙ্গত, 'ইডি-সিবিআই-কে তথ্য দিয়েছেন কুণাল ঘোষ', বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন,'তৃণমূল কংগ্রেসের শস্যের মধ্যে ভূত রয়েছে। ইডি-সিবিআই-কে তথ্য পৌঁছে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ । উনি জেলে থাকাকালীন, যেখানে দেওয়ার দিয়ে দিয়েছেন।আরও অনেকে তৃণমূলে থেকে তথ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। পার্থ-র টাকা কোথায় আছে, সেই তথ্যও পৌঁছে যাচ্ছে।'আর এবার এই ইস্যুতেই তোপ দাগেন এদিন শমীকও।


আরও পড়ুন, 'পার্থ তথ্য গোপন করছেন, দুর্নীতির দায় এড়ালেন কল্যাণময়', বয়ান না মিললে কী পদক্ষেপ সিবিআই-র ?


 মদন মিত্র মন্ত্রিসভায় নেই দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি : প্রসূন 


উল্লেখ্য, রাজনীতিতে পা রাখার আগে খেলার জগতে যুক্ত ছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ক্রীড়াজগতের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে সবাই জানলেও, তৃণমূলে থেকে খোদ মমতার মন্ত্রসভা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি ছড়িয়েছে।  প্রসঙ্গত, বরবরই বিতর্কিত মদন মিত্র। বারবার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে একসময় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলা নিয়েও কম জল গড়ায়নি। সম্প্রতি এতের পর এক ইস্যুতে বক্তব্য রেখেছেন মদন মিত্র। তবে তার মুখে সব সময়ই শোনা গিয়েছে, আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমার সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে ‘মদন মিত্র মন্ত্রিসভায় নেই' ইস্যুতে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে পারেননি বলেই দাবি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ‘মদন মিত্র মন্ত্রিসভায় নেই দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। তৃণমূল জমানায় সেরা ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। আর কাউকে ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে মানি না। কেউ রাগ করলে আমার কিছু যায় আসে না। মদন মিত্রকে পাশে নিয়ে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ইতিমধ্য়েই ভাইরাল।