কলকাতা: এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) গ্রেফতার হয়েছেন গতকাল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। আর এই ইস্যুতে এদিন কথা বললেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) এবং তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। 


আমরা শুধু দেখতে চাই, প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে: শমীক ভট্টাচার্য


এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'সরকার এবং দল , যাযা পদক্ষেপ নেওয়ার নিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ আইনগত দিক। তদন্তের দিক। এবং একাধিক মামলা এই ধরনের থাকে, যেখানে সিবিআই এগোয়, ইডি-ও এগোয়, এমনটাই এদিন বলেন কুণাল ঘোষ।এদিন অপরদিকে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা এটুকু জানি যে, বাগ কমিটির রিপোর্টে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ছিল। অনেকের মনের মধ্যে প্রশ্ন আছে যে, কেন তাঁকে গ্রেফতার করতে এতটা সময় লাগল ? আগে কেন গ্রেফতার করা হয়নি ? সিবিআই মনে করেছে, এই তদন্তের স্বার্থে একই সঙ্গে দুজনকে হেফাজতে দিতে হবে, তাই করেছে।আমরা শুধু দেখতে চাই তদন্তটা কবে কত তাড়াতাড়ি শেষ হচ্ছে ? প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে, এবং যারা ভুক্তভুগী , যারা প্রতারিত , তাঁরা বিচার পাচ্ছে।


ভিন্নমতের লোক কি এর মধ্যে কাজ করছেন না ? : কুণাল ঘোষ


গতকালও তিনি এই ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'এটা পুরো তদন্তের ব্যাপার। এর বিস্তারিত এখনও আমরা জানি না। যদি উনি গ্রেফতার হয়ে থাকেন, উনি বা ওনার আইনজীবীরা যা বলার বলবেন। তৃণমূল জামানায় এমন বহুলোক সারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাঠামোয় কাজ করে, যারা তাঁরা আগেও করে এসেছেন, বহুদিন ধরে, বহুবছর ধরে। তারমানে কি তাঁরা সবাই তৃণমূল ? বাম জমানার লোক এর মধ্যে চাকরি করছে না ? ভিন্নমতের লোক কি এর মধ্যে কাজ করছেন না ? সরকারের এতবড় কাঠামো, সেখানে শুধু তৃণমূল কাজ করছে নাকি ! ফলে এর সঙ্গে রাজনীতি জ়ড়ানোর মতো খুব একটা কিছু দেখতে পাচ্ছি না ! ' 


আরও পড়ুন, 'নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচার', আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল


উল্লেখ্য, পার্থ, শান্তিপ্রসাদ, অশোক সাহার পরে এবার গ্রেফতার কল্যাণময়। চাকরি বিক্রির অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে ২ প্রাক্তন এসএসসি কর্তাকে। শান্তিপ্রসাদ সিন্হার সঙ্গে কল্যাণময়ের সরাসরি যোগের অভিযোগ সিবিআইয়ের। ভুয়ো নিয়োগপত্রে সই করতেন কল্যাণময়, নাম ছিল বাগ কমিটির রিপোর্টেও। সূত্রের খবর, একাধিকবার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করে পর্ষদের অফিসে আসতে বলে সিবিআই। কিন্তু সেই কথা শোনেননি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কারণেই তাঁর বাড়িতে চলে যায় সিবিআই। এই মামলার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের অফিসে থাকতে পারে, এই সম্ভাবনার কারণেই তাঁর অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। তবে এবার প্রায় ৬ ঘণ্টা জেরার পরে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল সিবিআই।