কলকাতা: বাঙালির সঙ্গে চায়ের সম্পর্কের সুখ্যাতি বিখ্যাত। খুব কম মানুষই আছেন যাঁদের চা না-পসন্দ। দিনের শুরুটা অনেকেরই চা দিয়েই হয়। সাধারণত একেবারে সকালে এবং বিকেলে একবার, অন্তত দু-বেলা চা (Tea) লাগবেই। আবার অনেকের সারাদিনে অসংখ্যবার চা পানের অভ্যাস থাকে। যদি এই অভ্যাস থাকে, তাহলে একটু নিশ্চিন্ত থাকাই যায়। কারণ নতুন একটি গবেষণাপত্র (Research Paper) বলছে দিনে অন্তত দুই কাপ বা তার বেশি চা খেলে আয়ু বাড়তে পারে।


কোন গবেষণা:
অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন (Annals of Internal Medicine) নামের একটি জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা UK Biobank-এর তথ্য ব্যবহার করেছেন। সেখানকার প্রায় পাঁচ লক্ষ ব্যক্তির তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। যাঁদের বয়স ৪০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে। রক্ত, মূক্র, লালারস এবং অন্য শারীরিক পরীক্ষার তথ্যের সঙ্গে তাঁদের প্রচিদিনের ডায়েট এবং জীবনযাপনের ধরন নিয়ে একাধিক তথ্য ছিল। দিনে কতবার চা খান সেটাও ছিল তথ্যে। সেই তথ্যে দেখা গিয়েছে ওই ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ টা পান করেন। তাঁদের মধ্যে ৮৯ শতাংশই মূলত ব্ল্যাক টি (Black Tea) বা দুধ ছাড়া কালো চা পান করেন। এর যে মূল তথ্য তা ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছিল। তারপরে  ১১ বছর মিডিয়ান ধরে পরে আবার 'ফলো-আপ স্টাডি' (Follow Up Study) করা হয়। সেই সময় গবেষকরা দেখেন, ওই ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার জন মারা গিয়েছেন।


কী মিলেছে?
গবেষকরা জানাচ্ছেন, তাঁরা দেখেছেন যাঁরা দিনে দুই বার বা তার বেশি  কালো চা খান, তাঁদের কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ (Cardiovascular disease), ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ বা স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়। এ ছাড়া দিনে তিন কাপ চা খেলে মৃত্যুর ঝুঁকি অন্তত ১২ শতাংশ কমে যায় বলে দাবি গবেষকদের। সঙ্গে এটাও বলা হয়েছে, দুধ (Milk) এবং চিনি (Sugar) যোগ করলেও চায়ের উপকারিতা কমে যায় না।


যদিও এক্ষেত্রে চায়ের পরিমাণ অর্থাৎ এক কাপে কতটা চা রয়েছে, চা কতটা কড়া, কিংবা কোন ধরনের চা বেশি খাওয়া হয়েছে, এগুলো সমীক্ষায় আলাদা করে দেখা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমীক্ষা এই তথ্য মিলেছে এটা যেমন ঠিক। তেমনই আরও বড় আকারে, অন্য জনগোষ্ঠীর মধ্য়েও এই সমীক্ষা চালালে এই তথ্যের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পাশাপাশি, অন্য সমীক্ষা বা গবেষণার সঙ্গেও এই তথ্য মিলিয়ে দেখা প্রয়োজন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

আরও পড়ুন: ব্যাঘাত মনঃসংযোগ-ঘুমে? পছন্দের কাজেও লম্বা সময় ? বার্নআউট নয় তো ? প্রতিকার কোন পথে ?