কলকাতা: 'পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলই জিতবে', পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই পারদ চড়ল রাজনৈতিক মহলে। আলিপুর আদালতে নিয়ে আসার সময় এই মন্তব্য উসকে গেল গেরুয়া শিবির। যদিও তার মন্তব্যে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিরোধীরা। তবে এনিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।  


সুকান্ত মজুমদার বলেন, দিদি তো ওনাকে বাঁচাবেন না। কারণ দিদি ভেবেছিলেন, পার্থকে বলি দিয়ে, ভাইপোকে বাঁচিয়ে দেবেন। বলি তো অলরেডি দেওয়া হয়ে গিয়েছে ! ওনার ভরসা রাখার ইচ্ছে হয়েছে, ভরসা রাখুন, কোনও অসুবিধা নেই।  বাঁচাবে কিনা দেখুন ! ' পাশাপাশি, 'পার্থ-র মন্তব্যের মূল্য নেই', প্রতিক্রিয়া অগ্নিমিত্রার (Agnimitra Paul)। অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'তৃণমূল নেত্রীকে খুশি রাখার চেষ্টা। তবে আসল কথা বলছেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বলে দাবি কংগ্রেস নেতার। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন ধরে জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পাশাপাশি, দল থেকেও সাসপেন্ড। যদিও গ্রেফতারের পর, সাংবাদিকদের সামনে প্রথমবার মুখ খুলে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার বললেন, দিদির উপর ভরসার কথা প্রথম থেকেই তিনি বলে এসেছেন। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে দল। কিন্তু তিনি যে এখনও দলের অনুগত সৈনিক, তা বোঝাতে পিছপা হলেন না রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জেল থেকে আদালতে নিয়ে আসার সময় পঞ্চায়েত ভোটে কে জিতবে ? জানতে চাইলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, 'পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলই জিতবে।' 


আরও পড়ুন, 'পুরো মন্ত্রিসভাকে জেলে পাঠাতে হবে', কেন বললেন শুভেন্দু?


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ ৭ জনকে আজ ফের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রত্যেকের জামিনের বিরোধিতা করা হবে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কেও আদালতকে জানাবে সিবিআই। এই অবস্থায় হয়তো ফের জেলবন্দি থাকার মেয়াদই বাড়তে চলেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের সঙ্গেই রয়েছেন বুঝিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসই জিতবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর তাঁর মন্ত্রিপদ কেড়েছে দল। মহাসচিবের পদ থেকেও সরিয়ে দিয়েছে। দলের সব পদ থেকে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরও বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে তাঁকে বহাল রেখেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকি চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরও, রাজু সাহানিকে অবধি হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরায়নি তৃণমূল।