পূর্ণেন্দু সিংহ,বাঁকুড়া: বাড়ছে বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গন্ধেশ্বরী নদীর জলের স্তর ( Rise River water levels) । জলের স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়েছে কাঠের সেতু আগাম সতর্কতা হিসেবে অস্থায়ী কাঠের সেতু বন্ধ করে দিল বাঁকুড়া পুরসভা (Bankura Municipality)। বাঁকুড়া ২ নং ব্লকের একাধিক গ্রাম সহ হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগের সহজ পথ এই সেতু বন্ধ হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়লেন বহু মানুষ।


বাঁকুড়ায় নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জল বাড়তে শুরু করে


প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ায় নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জল বাড়তে শুরু করে দ্বারকেশ্বর নদেও। দ্বারকেশ্বর নদের এক পাড়ে রয়েছে বাঁকুড়া শহর। অন্য পাড়ে রয়েছে ভাদুল, সুরপানগর, সোনাতপল, বালিয়াড়া- সহ দশ থেকে বারোটি গ্রাম। এই গ্রামগুলির মানুষকে বাজার হাট থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ অফিস-আদালত সহ বিভিন্ন কাজে  প্রতিদিন নিত্য  যাতায়াত করতে হয় বাঁকুড়া শহরে। বাঁকুড়ার শহরের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা সবজির একটা বড় অংশও আসে ওই গ্রামগুলি থেকে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য আজ থেকে কয়েক বছর আগে ভাদুল ও সুরপানগরের মাঝে দ্বারকেশ্বর নদের ওপর একটি কজওয়ে তৈরি করে রাজ্য সরকার। প্রতিবছর বর্ষায় সেই কজওয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বর্ষা পেরোলেই ফের কজওয়ে মেরামতি করে তা দিয়ে যাতায়াত শুরু হয়।


আরও পড়ুন, পার্থ-র বান্ধবীর ফ্ল্যাটে টাকা উদ্ধার হয়েছে, অনুব্রত-র থেকে সেরকম উদ্ধার হয়নি: সৌগত রায়


' সমস্যার স্থায়ী সমাধানে অবিলম্বে উঁচু পাকা সেতু তৈরী করা হোক'


চলতি বছর এতদিন পর্যন্ত ওই কাজওয়ের ওপর দিয়ে যাতায়াত করছিলেন দারকেশ্বর নদের অপর পাড়ে থাকা  গ্রামগুলির মানুষেরা। বুধবার থেকে একটা বৃষ্টিতে দ্বারকেশ্বর নদের জল স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই কজওয়ের এর একাংশ ডুবে যায়। আজ সকালে দেখা যায় ওই কজওয়ের একাংশ জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি কজওয়ে ভেঙে পড়ায় এখন বাধ্য হয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাঁকুড়া শহরে তাঁদের যাতায়াত করতে হবে।  স্বাভাবিক ভাবেই চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন ওই গ্রামগুলির মানুষ। তাঁদের দাবি, সমস্যার স্থায়ী সমাধানে অবিলম্বে দ্বারকেশ্বর নদের ওপর ভাদুল ও সুরপানগর এর মাঝে উঁচু পাকা সেতু তৈরী করা হোক।