কলকাতা:  ভাঙড়কাণ্ডের (Bhangar) আঁচ পড়ে আজ কলকাতায় (Kolkata)। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার নেয় যে, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছয়। ধর্মতলায় (Dharmatala) অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui) গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। এদিন আহত হন একাধিক পুলিশ। ঘটনায় এদিন প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন (Santanu Sen)।


 রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা, বললেন শান্তনু


শান্তনু সেন বলেন, 'যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পেরে উঠছে না, যারা উন্নয়নের নিরিখে শত যোজন পিছিয়ে আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস, মানুষের মধ্যে এতটাই জনভিত্তি করে ফেলছেন প্রত্যেকদিন , এবং প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে প্রতিদিন তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে চলছে, সেখানে দাঁড়িয়ে বিরোধীরা, আইন নিজের হাতের তুলে নিয়ে, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে পুলিশ প্রশাসনকে মারধর করে তাঁরা রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা করছে।'


ঠিক কী হয়েছিল ? কী কারণে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ ?


প্রসঙ্গত, হাতিশালায় পতাকা লাগানোকে ঘিরে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে তৃণমূল-আইএসএফ। সংঘর্ষে ভাঙড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।আর সেই আঁচ গিয়ে পড়ে কলকাতায়। ধর্মতলায় চলে আইএসএফের অবরোধ। ঘটনায় আইএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে শাসকদল। জানা গিয়েছে, দুপক্ষের সংঘর্ষে চলে ইটবৃষ্টি। চলে বোমাবাজি। এমনকি গুলি চলারও অভিযোগও ওঠে। পোড়ে তৃণমূলের অফিস। এরপরেই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছয়।


আরও পড়ুন, ভাঙড়কাণ্ডে রণক্ষেত্র কলকাতা, আহত ১৯ পুলিশ কর্মী !


বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়তে থাকে পুলিশ


ধর্মতলায় অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। ইট ছুড়তে ছুড়তে পুলিশকে তাড়া করে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। ঘোরাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পৌঁছয় আরও পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়তে থাকে পুলিশ। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তাদের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে আইএসএফ। ঘটনা ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। জখম হন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।