কলকাতা: ভাঙড়কাণ্ডের আঁচ কলকাতায় (Kolkata), ঘটনায় আহত ১৯ পুলিশ কর্মী । মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta Medical College) আহত পুলিশকর্মীদের দেখতে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পাশাপাশি (SSKM) এসএসকেএম-এও আহত পুলিশ কর্মীদের শারীরিক অবস্থার খবর নিতে যান সিপি। একজন পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, 'লাঠির আঘাতে হেলমেট ফেটে মাথায় লেগেছে।' জানা গিয়েছে, কয়েকজন পুলিশকর্মীকে (Police) হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরও করা হতে পারে। 


দুপক্ষের সংঘর্ষে চলে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি


প্রসঙ্গত, হাতিশালায় পতাকা লাগানোকে ঘিরে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে তৃণমূল-আইএসএফ। সংঘর্ষে ভাঙড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।আর সেই আঁচ গিয়ে পড়ে কলকাতায়। ধর্মতলায় চলে আইএসএফের অবরোধ। ঘটনায় আইএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে শাসকদল। জানা গিয়েছে, দুপক্ষের সংঘর্ষে চলে ইটবৃষ্টি। চলে বোমাবাজি। এমনকি গুলি চলারও অভিযোগও ওঠে। পোড়ে তৃণমূলের অফিস। এরপরেই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছয়। 


পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ 


অপরদিকে ধর্মতলায় অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। টেনে-হিঁচড়ে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। ইট ছুড়তে ছুড়তে পুলিশকে তাড়া করে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। ঘোরাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পৌঁছয় আরও পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়তে থাকে পুলিশ। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তাদের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে আইএসএফ। ঘটনা ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। জখম হন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন, গ্রেফতার আইএসএফ বিধায়ক, 'নৌশাদ ভাল মানুষ', বললেন শুভেন্দু


ঠিক কী হয়েছিল ?


শনিবার দিনটা যে অশান্ত হতে চলেছে, সেটা বোঝা গিয়েছিল সকালের ঘটনার গতিপ্রকৃতি থেকেই। এদিন ছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা ISF-এর প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষ্যে পতাকা লাগানো নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তির সূত্রপাত। ISF- এর অভিযোগ, ভাঙড়ের হাতিশালা মোড়ে পতাকা লাগাতে বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জুলফিকার মোল্লার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, পতাকা লাগানোর সময়, তাঁদের কর্মী সমর্থকদের গালিগালাজ ও মারধর করেন ISF'এর সদস্য়রা। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। পুলিশের সামনেই তৃণমূল এবং ISF-এর তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়।শুরু হয় বোমাবাজি,ওঠে গুলি চালানোর অভিযোগও।দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক আহত হয় বলে অভিযোগ। এরমধ্যেই ISF কর্মীরা একের পর এক গাড়িতে, কলকাতায় প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে রওনা দিতে থাকেন। তখনও ফের ISF-এর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির গাড়ি।