কলকাতা: সাট্টা-জুয়ার আসর বসানোর প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল কলকাতায় (Kolkata)। গতকাল রাতে মানিকতলার (Maniktala) পাঞ্জাবি গ্যারাজ এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম অনিল রজক।
ঠিক কী ঘটেছিল?
ফের প্রতিবাদীর উপর আক্রমণের অভিযোগ। শুধু আক্রমণই নয়, প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে মারার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। মৃতের স্ত্রী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, এই চত্বরে সাট্টা-জুয়ার আসর বসে। ক্রিকেট বেটিংও চলে। দাপটও রয়েছে সাট্টার কারবারিদের। এ নিয়ে গন্ডগোল চলছিল। সাট্টা-জুয়ার আসর বসানোর প্রতিবাদ করা হয়। আর প্রতিবাদ করতেই বছর ৪৫-এর অনিলকে পিটিয়ে মারা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে মানিকতলা থানার পুলিশ। কীভাবে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির? খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রতিবাদী করায় আগেও আক্রমণের ঘটনা কলকাতায়:
এর আগে অটোচালকের 'দাদাগিরি'র প্রতিবাদ করা আক্রমণের মুখে পড়তে হয় এক ব্যক্তিকে। মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার পথে বেপরোয়া অটো সাইকেলে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি। যে ঘটনার প্রতিবাদ করলে মারধরের অভিযোগও ওঠে। পুলিশে অভিযোগ জানাতে যাওয়ার পথে ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও সামনে আসে। যাদবপুর থানার (Jadavpur Police Station) সামনে সাইকেল আরোহীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
গত সপ্তাহে ঘটনাটি ঘটেছিল আনোয়ার শাহ রোডের পাশে একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারের সামনে। যাদবপুর থানা থেকে যার দূরত্ব ১০০ মিটারেরও কম। আক্রান্ত ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, গত শুক্রবার দুপুরে স্কুল থেকে মেয়েকে নিয়ে সাইকেলে করে সেলিমপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। ওই সময় রবীন্দ্র সরোবরের দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া আটো তাঁদের ধাক্কা দেয়। মেয়ের হাতে আঘাত লাগে। প্রতিবাদ করেন বাবা। তার জেরে প্রতিবাদী সুব্রত বেরাকে মারধর করেন অটোচালক। যাদবপুর থানার সামনে ঘটনা ঘটলেও এলাকাটি লেক থানার অন্তর্গত। ঘটনার পর আক্রান্ত লেক থানায় অভিযোগ জানাতে যান। অভিযোগ ওই সময় থানার বাইরেই ইট দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে চম্পট দেন অটোচালক।
চলতি বছর মে মাসে সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন প্রতিবাদী। দুই সহপাঠিনীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত হয়েছিলেন উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজের এক ছাত্র। ছাত্রীদের সঙ্গে কলেজ যাচ্ছিলেন বালির রাজচন্দ্রপুরের বাসিন্দা কলেজ ছাত্র। অভিযোগ, রাস্তায় ৩ জন ছাত্রীদের উদ্দেশে কটূক্তি করে। পরে কলেজের সামনে উত্তরপাড়া জিটি রোডে ফের কটূক্তি করলে প্রতিবাদ করেন ওই ছাত্র। ইভটিজারদের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। এলাকার লোকজন ছুটে এলে তখনকার মতো চলে যায় ওই ৩ জন। বাড়ি ফেরার সময় বালিঘাট স্টেশনে প্রতিবাদী ছাত্রের ওপর ইভটিজাররা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। আরও কয়েক জনকে ডেকে আনা হয়। লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি ছুরি নিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Governor: 'হিংসার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে' জয়নগর ইস্যুতে বার্তা রাজ্যপালের