কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) তাপস মন্ডলকে (Tapas Mandal) এদিন ডেকে পাঠানো হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে। আর বেরোনোর পরেই এবিপি আনন্দকে দিলেন এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন তিনি। 'কুন্তল বলছেন, নীলাদ্রি ঘোষ নামে একজন রয়েছেন', সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে, গাড়িতে ওঠার আগে বললেন, 'তাঁকেও ডেকেছে। আমার টাকা আদায় করার জন্য যেতো। 


নীলাদ্রি কে ? নীলাদ্রির পরিচয়টা কী ?


প্রশ্নের উত্তরে, তাপস মন্ডল বলেন ,' পরিচয় বলতে সেও একজন ক্যান্ডিডেট। ক্যান্ডিডেট মানে কী, তার একটা দুটো ক্যান্ডিডেট দিয়েছিল, পরবর্তীকালে সে যখসিজিন দেখছে যে, আর হবে না চাকরি বাকরি, তখন আমি বলেছিলাম যে, আমি যে টাকা পয়সা দিয়েছিলাম তুমি একটু উদ্ধার করার ব্যবস্থা করো। আমি সময় পাচ্ছি না। সাংবাদিক এরপর বলেন 'স্ত্রী দাবি করছে, নিউটাউনে দুটি ফ্ল্যাট, একটিতে নাকি আপনি অফিস চালাতেন ? ' এরপরেই তাপস মন্ডল বলেন, 'নিজের অফিস থাকতে আমি ওর ওখানে অফিস চালাতে যাবো কেন, এই সব প্রশ্ন আসছে কেন ? অনেকে অনেককিছুই বলবে, তার উত্তর আমি তদন্তকারী সংস্থার কাছে দেব।' 


আপনার কখনও মনে হয়নি, এটা ভুল , অন্যায় কাজ ?


এরপরেই সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, 'এই যে কুন্তল ঘোষ, তিনি কার সাহায্যে করত ?' কথা গতি বাড়িয়ে তাপস মন্ডল বলেন,' জানি না, জানি না। উনি কার সাহায্যে করতেন, এটা তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করুক। তদন্তকারী সংস্থা যখন তাকে গ্রেফতার করেছে , তার কাছ থেকেই বের করুক।' কুন্তল ঘোষের কাছে আপনি কত জন পাঠিয়েছিলেন, ৩২৫ জন ? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে, তাপস মন্ডল বলেন , 'আপনাদের কাছে রিপোর্ট আছে।' এই ৩২৫ জনকে পাঠালেন, এটা আপনার কখনও মনে হয়নি, এটা ভুল , অন্যায় কাজ ? প্রশ্নের উত্তরে এবার খানিকটা নরম সুরে তার সংযোজন, 'আমি তো স্বীকার করছি, এটা আমার ভুল হয়েছে।' 'আপনি নিজে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, সেখানে অযোগ্য প্রার্থীদের পাঠাচ্ছেন', প্রশ্নে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করে, 'কে যোগ্য, অযোগ্য, সেটা সরকার বিচার করুক।'  


আরও পড়ুন, স্ক্যানারে প্রদীপ-প্রসন্ন, CBI-কে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি আদালতের 


প্রসঙ্গত, নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি গ্রেফতার হন প্রদীপ সিংহ।  আর তাকে গ্রেফতার করার পরেই তার সল্টলেকের  অফিসে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা চলে টানা তল্লাশী। জিডি ব্লকের ২৫৩ নং বাড়ি যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্ত সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই অফিসে আসতেন প্রদীপ সিংহ । সিবিআই সূত্রে খবর, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়েও দিয়েছিলেন।  আরও কারা এখানে জড়িত রয়েছে, কীভাবে এই নিয়োগ দুর্নীতি প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআই-র আইনজীবী বলেন, প্রদীপ মিডলম্যান হিসাবে কাজ করতেন।অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসএসসি-র নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগযোগা করতেন প্রদীপ। অনেকগুলি ইমেল আইডি পাওয়া গিয়েছে, যেখানে অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। কার কথায় তালিকা তৈরি করা হত ? কে নির্দেশ দিতেন ? আর কারা কারা যুক্ত রয়েছেন ? তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।