কলকাতা: প্রোটিন, বিভিন্ন খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিনে ঠাসা এই ধরনের শস্য। কোষের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও কার্যকরী। এই জাতীয় শস্যে ভরপুর ফাইবার থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ফাইবার কাজে লাগে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা লাগামে রাখতেও ফাইবার কাজ করে। পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রা লাগামে রাখা। পাচনতন্ত্র, হজমশক্তি ঠিক রাখতেও সহায়ক বিনসজাতীয় শস্য।
মানবদেহের হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রয়োজন ক্যালসিয়াম। শুঁটিজাতীয় শস্য দেহে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। বলা হয়ে থাকে এর ক্যান্সারবিরোধী গুণও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। বিনসজাতীয় শস্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। যা ডায়াবেটিকদের জন্য খুবই ভাল।
আরও পড়ুন...
আয়রনের অত্যন্ত ভাল উৎস। শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে আয়রন প্রয়োজন। এছাড়া হরমোন সংক্রান্ত বিষয়েও এই খনিজ প্রয়োজন। লিগামেন্ট-টেন্ডনের জন্যও প্রয়োজনীয় আয়রন। কড়াইশুঁটি, রাজমা এর ভাল উৎস।
কিছু কিছু খনিজ খুব সামান্য পরিমাণে হলেও প্রয়োজন হয় শরীরে। তেমনই হল ম্যাগনেশিয়াম। হাড়ের গঠন ভাল করতে প্রয়োজন হয় ম্যাগনেশিয়াম। রক্তের শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখতে প্রয়োজন হয় ম্যাগনেশিয়াম। বিনসজাতীয় শস্য থেকে পাওয়া যায় এই খনিজ। পটাশিয়াম ও জিঙ্কেরও অত্যন্ত ভাল উৎস এটি।
বিনসজাতীয় শস্যে যে যে পোষকপদার্থ থাকে, তার মধ্যেই একটি হল ফলেট। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনী ফলেট। সুস্থ লোহিত রক্তকণিকা তৈরির কাজে যেমন লাগে, তেনমনই গর্ভাবস্থায় মা ও ভ্রূণের স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই পোষকপদার্থ।
শুঁটিজাতীয় খাবারে ভরপুর পলিফেনল রয়েছে। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। কোষের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
হৃদযন্ত্রের জন্যও ভাল বিনসজাতীয় খাবার। উচ্চ মাত্রায় ফাইবার, কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ভয়ও থাকে না বিনসজাতীয় শস্যে। তাই সব মিলিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়। ২০১৮ সালে AHA Journal-এ প্রকাশিত Review and Meta-analysis-এর একটি সমীক্ষা নিয়ে লেখা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছে বিনসজাতীয় খাবারের পুষ্টিগুণ কোলেস্টেরল লাগামে রাখতে এবং হৃদরোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।