কলকাতা:  ২০১৭-র টেট (TET) উত্তীর্ণদের রাজভবন অভিযান উপলক্ষে উত্তেজনা। শিয়ালদা (Sealdah Station Area) স্টেশন চত্বরে জমায়েত, আচমকা মিছিল। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি। শিয়ালদা স্টেশন চত্বরেই রাস্তা আটকায় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ (Police)। 


ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যে নতুন করে প্রাথমিকে টেট, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মধ্যেই সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সূত্রের খবর, পরীক্ষার দিনক্ষণ ঠিক করতে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করবেন পর্ষদ সভাপতি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সেপ্টেম্বরে টেট নেওয়া যাচ্ছে না, জানায় পর্ষদ। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে অ্যাডহক কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, চলতি বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে হবে প্রাথমিকে টেট।


তৃণমূল আমলে এর আগে তিনবার টেট হয়। ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষা নেয় পর্ষদ। এই টেট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। এই আবহে নতুন করে টেট পরীক্ষা নেওয়ার তৎপরতা শুরু হয়েছে। নতুন সভাপতি এবং অ্যাডহক কমিটি আসার পর বৈঠক হয়।পরীক্ষার দিনক্ষণের ইস্যুতে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, ওইদিন সুপারিশ করা হয় অ্যাডহক কমিটির তরফে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, টেট নিতে হবে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। কিন্তু সেই নির্দেশ পালন করতে পর্ষদ পারছে না, সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে সুপ্রিম কোর্টকে। পরীক্ষা কবে নেওয়া যায়, তা চূড়ান্ত করতে পুজোর আগেই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন পর্ষদ সভাপতি। উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে, হালেই ১৮৫ জনকে সুপারিশপত্র দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 


আরও পড়ুন, 'টাকা দেন বলেই, পুজো উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী', বলেন দিলীপ, ১১-র আগের কথা মনে করালেন কুণাল


মূলত, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীকে তলব এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর এমনিতেই এই প্রতিবাদ আরও দিন দিন জোরালো হয়ে উঠছে। এদিকে এহেন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসে বামেদের চাকরি ইস্যুতে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সম্প্রতি এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের ধর্ণামঞ্চে এসে প্রতিক্রিয়া দিলেন সুজন। এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের ধর্ণামঞ্চে এসে সরব হন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ' ধর্ণায় বসে আছেন বাংলার ভবিষ্যতের মাস্টার মশাইয়েরা। যাদের পরিচয় হবার কথা ছিল মাস্টারমশায়, তাঁরা এখন রাস্তায় বসে আছে, এর থেকে লজ্জার কিছু হতে পারে না।  অনুব্রত-র টাকা, তোমাদের বঞ্চনার টাকা। তোমরা যোগ্যতা টানা এই  লড়াইটা পালন করে যাচ্ছ।আমি তোমাদের স্যালুট জানাই। আমাদের সমাজের যারা বড়ো, যারা সমাজ চালাচ্ছে, তাঁদের অপরাধের কথাটা তোমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে আসাটাই মূল উদ্দেশ্য।'