কলকাতা: পুলিশ নতুন ধারা যুক্ত করতেই এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি। নারকেলডাঙাকাণ্ডে (Narkeldanga Violence) পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার (Swapan Samaddar)। প্রকাশ্য সভা থেকে  আসে সেই বার্তা।


এদিন তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, ''নতুন ধারা যুক্ত করে ভুল করেছেন, অন্যায় করেছেন,পুলিশ-এসপির কাজ রিপোর্ট তৈরি করা। মুখে বলব না, পরের পদক্ষেপে কী করতে হয় আমরা জানি। কিছু কিছু পুলিশের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদনাম হচ্ছে, নিজেদের আখের গোছানোর জন্য সরকারের বদনাম হচ্ছে।কিছু পুলিশ ভেবে নিয়েছে সরকার এখনই উল্টে গেল, তাঁদের বলি মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন।কেসে নতুন ধারা যুক্ত করে ভাল কাজ করেননি।''


এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি স্বপন সমাদ্দার। পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,'' নারকেলডাঙা থানাকে বলব শান্তভাবে থাকুন। পরের আন্দোলনে ছেড়ে দেব না। যাঁরা যাঁরা এই কাজ করেছেন সংযত থাকুন। নারকেলডাঙা থানা এলাকায় প্রচুর বেআইনি কাজ হচ্ছে, চুপ করে বসে আছেন ডিসি ইএসডি।'' 


ঠিক কী হয়েছিল নারকেলডাঙায় ?
নারকেলডাঙার বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলে দীপক দাসের অভিযোগ, প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তাঁদের দেখা করতে ডেকেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং বিধায়ক পরেশ পাল। সে জন্য তাঁদের 'ছেলেরা এসে তলব' করে যায় বলে, দাবি শিবশঙ্করের। কিন্তু বাবা-ছেলে কেউই যেতে রাজি হননি। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় তাণ্ডব।


অভিযোগ, 'প্রায় ২০০ মত ছেলে এসে আচমকাই তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় এবং দীপককে বেধড়ক মারধর করা হয়।'যদিও কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে তিনি নারকেলডাঙা থানায় যান। এদিকে নারকেলডাঙা থানায় আরও অসুবিধা অপেক্ষা করছিল বলে, দাবি শিবশঙ্কর ও দীপকের। তাঁদের দাবি, থানায় অভিযোগ তো নেওয়া হয়নি। উল্টে  তাঁদের, 'আক্রান্ত দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়।'অপরদিকে আজ শিয়ালদহ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরলে দেখেন যে,তাণ্ডব হয়ে গিয়েছে। দীপকের দাবি, তাঁর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছে হামলাকারীর দল। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। তিনি এই মুহূর্তের কলকাতার ইডেন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আরও অভিযোগ, মারধর করা হয়েছে বাড়ির শিশুদেরও। এদিন ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।