সমীরণ পাল, সন্দীপ সরকার ও অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতারির পর, সৎ রঞ্জনের গ্রাম থেকেই, সামনে এল তাঁর আরেক কীর্তি। গ্রামের এক বাসিন্দার দাবি, পরিবারের ৫ জনের চাকরির জন্য় রঞ্জনকে ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। আর এনিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তৃণমূলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্য়। প্রশাসন থেকে রাজ্য় সরকারের (WB Govt) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।


নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগের ঝুলি থেকে বেরোল নতুন বেড়াল 


নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে 'কাকু'কে নিয়ে রহস্য় এখনও কাটেনি। তার মধ্য়েই ফের ফোকাসে মামা-ভাগিনা। না, এরা নিয়োগ-দুর্নীতির এপিসোডে কোনও নতুন চরিত্র নয়। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার সেই মামা-ভাগিনা গ্রাম। যেখানকার বাসিন্দা এবং নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের অন্য়তম অভিযুক্ত সৎ রঞ্জনকে। সিবিআই গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের ঝুলি থেকে নতুন বেড়াল বেরোল বৃহস্পতিবার। আর তা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন তৃণমূলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্য়।


'সরকার কি জানে না, এ চাকরি কীভাবে হচ্ছে ?', দাবি অনুপ ঘোষের


বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য় অনুপ ঘোষ বলেন, 'সরকার কি জানে না, এ চাকরি কীভাবে হচ্ছে ? তাহলে আগা থেকে মাথা পর্যন্ত সব ধরুক। চন্দনের একার দোষ দিলে হবে না। এ কার মাস্টার প্ল্য়ান? যারা সরকার চালাচ্ছে, শিক্ষা দফতর কারা আছে, চন্দন কে? চন্দন তো আমার মামা-ভাগিনার ছেলে। কলকাতায় শিক্ষা পরিচালনা কারা করছে? শিক্ষা দফতর কারা চালাচ্ছে? সেটা আগে দেখুক।' 'সৎ রঞ্জনের' গ্রামেই তাঁর 'দুর্নীতির কীর্তি' ফাঁস। ১ পরিবারে ৫ চাকরির জন্য় ৪৪ লক্ষ টাকা 'আত্মসাৎ'। সৎ রঞ্জনের গ্রাম মামা ভাগিনার বাসিন্দা অরবিন্দ বিশ্বাসের দাবি, পরিবারের ৫ জনের চাকরির জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। তার মধ্য়ে দুজনের গ্রুপ ডি-তে চাকরি হলেও, ২ মাস পরই সেই চাকরি চলে যায়। তবে টাকা আর ফেরত মেলেনি। 


আরও পড়ুন, না ফিরুক মাধ্যমিকের প্রথম দিনের স্মৃতি, এবার ঘুমপাড়ানি গুলি হাতিকে


 'সব টাকা দিয়ে চাকরি' বিস্ফোরক তৃণমূল সদস্য়


তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, চন্দনের গ্রামেই তাঁর দুর্নীতির কীর্তি সামনে আসার পর, একেবারে রাজ্য় সরকার থেকে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য় অনুপ ঘোষ। বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য় অনুপ ঘোষের দাবি, 'সব টাকা দিয়ে চাকরি। সব টাকা দিয়ে চাকরি। সাদা খাতা জমা দিয়ে সব চাকরি। এটা অরাজকতা। করেছে এসব দালালরাজ, পুষেছে সরকার'। কীভাবে চাকরি পেল? কে দিয়েছিল ? সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, 'এরা টাকার মাধ্য়মে চাকরি পেয়েছে। চন্দন মণ্ডলই দেয়।'  এরপরেই সাংবাদিক প্রশ্ন তোলেন, এখানে কি লাইন লেগে যেত ? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'লাইন। থানার বড় বাবুরা জানে। বিডিও-রা জানে।'