সুনীত হালদার,হাওড়া: প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যার (Anis Khan Murder case) বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার কলকাতার ধর্মতলায় ইনসাফ সভার ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই ( DYFI) এবং এসএফআই (SFI) রাজ্য কমিটি। এই উপলক্ষে সোমবার রাতে বিভিন্ন জেলা থেকে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই কর্মীরা কলকাতায় (Kolkata)  আসতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই সেই ছবি শেয়ার করেছেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।


সোমবার রাতে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসে পুরুলিয়া থেকে কর্মীরা আসেন। এছাড়াও বীরভূম, বাঁকুড়া এবং অন্যান্য জেলা থেকেও বিভিন্ন ট্রেনে রাতে কর্মীরা হাওড়া স্টেশনে আসেন। হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) তাদের খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় সিপিএম-র হাওড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে। তাঁদের খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। অনেকে স্টেশনে রাত কাটালেও বেশ কিছু কর্মীদের পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত কাটিয়ে তারা সকালে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।



'কাঁপাতে ১৪ তলা, চলো ধর্মতলা' স্লোগানে মাতল বামেরা


প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর বিচার চেয়ে ধর্মতলায় ইনসাফ সভার ডাক ডিওয়াইএফআই ( DYFI) এবং এসএফআই (SFI)-এর। এদিন বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে সভা। বক্তা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। 'কাঁপাতে ১৪ তলা, চলো ধর্মতলা' স্লোগান তুলে রাজ্যে বেকারত্ব, দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হবে বামেরা। হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে মূলত দুটি মিছিল আসার কথা ধর্মতলায়। বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। হাওড়া স্টেশনে সিপিএমের তরফে তাঁদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয় ।


আরও পড়ুন, সুবীরেশ গ্রেফতার হতেই 'নথি' পোড়ানোর অভিযোগ, ভিডিও শেয়ার সুকান্ত-র


চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে হাওড়ার আমতায় আনিস খানের রহস্যমৃত্যু হয়! পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে। তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশেরই SIT।  কিন্তু CBI তদন্ত চেয়েকলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহতের পরিবার। ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে পুলিশি অভিযান যে নিয়ম মেনে হয়নি, তা আগেই আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ঘটনার দিন দুই পুলিশ কর্মীর আনিসের বাড়ির দোতলায় ওঠা ও পরে আনিসের মৃতদেহ উদ্ধার, মাঝের সময়টায় ঠিক কী ঘটেছিল, আদালতে তার সদুত্তর দিতে পারেনি রাজ্য পুলিশের এসআইটি। এরপরেই তদন্তের মোড় ঘোরে।