কলকাতা: করোনার গ্রাফ ঊর্দ্ধমুখী আর সেই কারণেই মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় মাইকিং করল নিউটাউন থানার পুলিশ। এর পাশাপাশি অসচেতন মানুষদের যারা মাস্ক না পড়ে বাইরে বেরিয়েছেন তাদের মাস্ক দেওয়া হয়। নিউটাউনের এনকেডিএ মার্কেট, নিউটাউন বাসস্ট্যান্ড ও লোহাপুল এলাকায় মাইকিং ও মাস্ক বিলি করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এর পাশাপাশি নিউটাউন থানা এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে অটোতে করে মাইকিং করা হয়। করোনা রুখতে সরকারের যে গাইডলাইন আছে সেগুলো মেনে চলার এবং মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার অনুরোধ করা হয়।


পুজো মিটতেই ফের ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে করোনা। হাজার ছুঁইছুঁই দৈনিক সংক্রমণ। এই প্রেক্ষাপটে নবান্নের নির্দেশে, রাজ্যে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকাকে। চলছে প্রচার। সেই সঙ্গে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ পালন করতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশও। চলছে ধরপাকড়।


হুগলির ১২টি ব্লকের, ২৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮টি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডকেও কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।করোনা সচেতনতা বাড়াতে গতকাল মাস্ক বিলি করেন আরামবাগ পুরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী। রাস্তায় নেমেছিলেন উত্তরপাড়া পুরসভার প্রশাসকও। উত্তরপাড়া পুরসভার প্রশাসক দিলীপ যাদব বলেছেন, আগের মতো তো নেই, বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। যার করোনা হচ্ছে, পরিবারকে সাহায্য করা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। পুলিশকেও বলছি কড়াকড়ি করতে। 


উত্তর চব্বিশ পরগনার বারারাসাতের ৪ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গোটা জেলায় ৫৬টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। 


পুজোর ক’টা দিন ছাড় দেওয়ার পরই ফের শুরু হয়েছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরনো যাবে না। শনিবার রাত থেকে ওই বিধিনিষেধ ফের চালু হতেই, পুলিশি তৎপরতা নজরে পড়ছে কলকাতা জুড়ে। করোনাবিধি না মানার অভিযোগে বিডন স্ট্রিটে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়। কড়াকড়ির ছবি ধরা পড়েছে পার্কস্ট্রিট ক্রসিংয়েও।


করোনা সচেতনতা বাড়াতে গতকাল জলপাইগুড়ি শহরে মাইক হাতে বেরিয়েছিলেন খোদ পুলিশ সুপার।