সন্দীপ সরকার, কলকাতা : ২৮ দিনের অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ১৪ ঘণ্টা অপেক্ষা। হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য একরত্তিকে নিয়ে চরম বিড়ম্ববনায় বাবা-মা। অসহায়তার এছবি এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে।


বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা শিশুর বাবা-মায়ের দাবি, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬ দিন চিকিত্সা হয় শিশুর। পেটে সংক্রমণ থাকায় অস্ত্রোপচারের কথা বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকার কথা বলে রেফার করা হয়। শনিবার রাত ২টো নাগাদ NRS-এ পৌঁছন তাঁরা। অভিযোগ, শিশুকে ভর্তি নিতে চায়নি NRS হাসপাতাল। বেড না থাকার কথা বলে, সোমবার আউটডোরে দেখাতে বলেন চিকিত্সকরা।

এর পরই সন্তানকে নিয়ে আতান্তরে পড়ে পরিবার।  কী করবেন, কোথায় যাবেন, মাথায় হাত পড়ে যায় পরিবারের। শিশুর অবস্থারও ক্রমে অবনতি ঘটছিল। অছটফট করছিল একরত্তি । অথৈ জলে পড়ে যায় পরিবার। পরে এই খবর জানাজানি হতে নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ ১৪ ঘণ্টা পর, রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ, শিশুকে ভর্তি নেওয়া হয় পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে।

কেন এমন পরিস্থিতি হল, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে NRS কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে রবিবারই এসএসকেএম হাসপাতালে  কঠিন  অপারেশনের পর ফিরিয়ে দেওয়া হল শিশুর প্রাণ।  এক মাসের শিশুর খাদ্যনালী থেকে বের করা হয় ধাতব হুক। মায়ের কোলে খাবার খাওয়ার সময়, বিপত্তি। মায়ের পোশাকে থাকা ধাতব হুক, খাবারের মধ্যে পড়ে তা চলে যায় শিশুর খাদ্যনালীতে! শনিবার বিকেলে এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার একটি সরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঁশকুড়ার বাসিন্দা ওই শিশুকে রেফার করা হয় এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। রবিবার দুপুরে জটিল অস্ত্রোপচারের পর, শিশুর বিপদ কাটে।  ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক সন্দীপন নস্কর জানান, এক মাসের শিশুপুত্রের খাদ্যনালী থেকে ধাতব বস্তু বের করতে, বিশেষ পদ্ধতি নেওয়া হয়। 
 চিকিৎসকরা বলছেন, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসায় বড় বিপদ ঘটেনি। শিশুকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। তিন-চারদিন পর তাকে ছুটি দেওয়া হবে।