পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: কলকাতার হোটেলে ওড়িশার ব্যবসায়ীর (Odisha Businessman) মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা। পুলিশের দাবি, হোটেলের (Kolkata Hotel) ঘর থেকে মিলেছে প্রচুর ওষুধ। আত্মহত্যা? খুন নাকি অসুস্থতা থেকেই মৃত্যু? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


কলকাতার হোটেলে ওড়িশার ব্যবসায়ীর মৃত্যু, কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা


শহরের হোটেলে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার ওড়িশার ব্যবসায়ী! পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা। ব্যবসায়ীর মৃত্যু কি স্বাভাবিক? নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? ঘনীভূত রহস্য।


নিউ মার্কেট থানার পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যবসায়ীর নাম নিসারউদ্দিন খান (৫২)। তিনি ওড়িশার জাজপুরের বাসিন্দা।  লেনিন সরণির হোটেল রিগালের ১১৭ নম্বর রুমে ছিলেন তিনি।   


পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলকাতায় এলে এই হোটেলেই উঠতেন নিসারউদ্দিন খান। গত সোমবারও তিনি এই হোটেলেই ওঠেন।


আরও পড়ুন: Narendrapur Blast:'দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য', নরেন্দ্রপুরকাণ্ডে সরব শমীক, মুখ খুললেন ফিরহাদও


হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সব ঠিকঠাকই চলছিল। পুলিশকে তারা জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার সকালেও ব্যবসায়ীকে স্বাভাবিক অবস্থায় দেখেন হোটেলের কর্মীরা। কিন্তু, দুপুর থেকে তাঁর আর সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। 


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরে হোটেল কর্মীরা ভেন্টিলেটরে উঁকি মেরে দেখেন, বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন ওই ব্যবসায়ী। হোটেলের ম্যানেজার বলেন, "২৪ তারিখ এসেছিলেন। সকালের পর সাড়াশব্দ পাচ্ছিলাম না। পুলিশে খবর দিই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।"


হোটেল থেকে ফোনে খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ীকে। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে, মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। 


প্রায়শই কলকাতায় এসে ওই হোটেলেই উঠতেন মৃত ব্যবসায়ী


কিন্তু, কীভাবে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হল? আত্মহত্যা না খুন?  নাকি অসুস্থতা থেকেই মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হোটেলের ঘরে হার্ট ও ডায়াবিটিসের ওষুধ পেয়েছে পুলিশ। সেগুলি কি ওই ব্যবসায়ী ব্যবহার করতেন? সব দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ। 


অন্য দিকে, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দশমীর দিন ১৬ বছরের নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদার ঘটনা। বাধা দিলে নাবালিকার বাবাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত মারিশদার কইতোড় অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ কিছু করবে না বলে হুমকিও দেন অভিযুক্ত শাসক-নেতা। একাদশীর দিন অভিযোগ দায়ের হলেও, গতকাল অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।এদিকে, ঘটনার পর থেকই সপরিবারে এলাকাছাড়া যুব তৃণমূল নেতা। তৃণমূলের সংস্কৃতি, কটাক্ষ বিজেপির। শাসকদলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।