পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : মধ্যপ্রদেশের ( Madhya Pradesh ) খাণ্ডোয়া থেকে ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে (terrorists ) ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হল কলকাতায় ( Kolkata City ) ।
কীভাবে যোগাযোগ রাখত সন্দেহভাজন জঙ্গিরা ( terrorist ) ? কী প্ল্যান ছিল তাদের ? কে বা কোন জায়গা ছিস তাদের টার্গেটে ? STF সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহভাজন জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে সিক্রেট চ্যাট অ্যাপ ব্যবহার করত। তার মাধ্যমেই সাঙ্কেতিক ভাষায় চলত কথাবার্তা। এই সিক্রেট চ্যাট অ্যাপেই সন্দেহভাজন IS জঙ্গি মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত নিষিদ্ধ সংগঠন SIMI-র প্রাক্তন সদস্য আবদুল রকিব।
কে এই সাদ্দাম ?
এসটিএফ সূত্রের খবর, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এম টেকের ছাত্র সাদ্দাম, মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে চাকরি নেয় এক বেসরকারি সংস্থায়। কিন্তু হঠাৎ করে তার চাকরি চলে যায়। এসটিএফ সূত্রের দাবি, পরিবারকে সাদ্দাম জানিয়েছিল, সে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছে। কিন্তু আদতে, গত ২ বছর ধরে সে জঙ্গি সংগঠন ISIS-এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে, জেরায় জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। টেলিগ্রাম নামের এক সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে সাঙ্কেতিক ভাষায় চলত কথাবার্তা। STF সূত্রে দাবি, বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্টও বানিয়েছিল সাদ্দাম। তার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন-সহ নানা ইলেকট্রনিক গেজেট পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন,আত্মঘাতী হামলা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিল সাদ্দাম।
আরও পড়ুন :
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাই না, ফর্ম জমা দিয়েও লাভ হয়নি, ক্ষোভের মুখে 'দিদির দূত' সাংসদ
কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রে দাবি, শুধু পাক যোগই নয়, সিরিয়ায় রয়েছে এরকম ৬ জনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সাদ্দাম ও সইদের। সাদ্দামের একটি ডায়েরিতে আরবি ভাষায় বেশ কিছু লেখা পাওয়া গেছে, যা থেকে জানা যাচ্ছে, IS'এ যুক্ত হওয়ার জন্য শপথ নিয়েছিল সে। ধৃতদের কাছে মোট ১৮টি ডিভাইস পাওয়া গেছে। নতুন তথ্য জানতে সেগুলিকে পরীক্ষা করে দেখা হয়।
গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, বাংলা অথবা দেশের অন্য কোথাও কি নাশকতার ছক ছিল? IS-এর হয়ে সাদ্দামদের হ্যান্ডলার কে ছিল? টাকার জোগান কোথা থেকে আসত? ধৃতদের কোথায় নাশকতার ছক ছিল? কারা ছিল নিশানায়? জঙ্গি মডিউল এ রাজ্যে কতটা ছড়িয়েছে? হ্যান্ডলার কারা? এসবই এখন তদন্তকারীদের কাছে বড় প্রশ্ন। ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের জেরা করে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে STF।