কলকাতা: প্রিন্সেপ ঘাটে বিজেপির 'বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব'-এর অনুমতি দিল না পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ তৃণমূলের চাপেই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি। অনুমতি না মেলায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপির দাবি, লালবাজারের তরফে জানানো হয়, দেরিতে আবেদন করায় অনুমতি দেওয়া যায়নি।


মঞ্চ বাঁধা হয়ে গেছিল। দূরদুরান্ত থেকে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন শিল্পীরাও। কিন্তু, অনুষ্ঠান শুরুর একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রিন্সেপ ঘাটে বিজেপির 'বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব'-এর অনুমতি দিল না পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের চাপেই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য় সরকারের সঙ্গীত মেলার সপ্তাহ তিনেক পরে, আলাদা করে সঙ্গীত উৎসবের আয়োজন করে বিজেপির কালচারাল অ্যান্ড লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গল। এই অনুষ্ঠান এইবারই প্রথম।

বিজেপির দাবি, এলাকাটি সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় প্রথমে তাঁদের থেকে NOC নেওয়া হয়। সেনার অনুমতি মেলার পর ১৮ জানুয়ারি কলকাতা পুলিশকে জানানো হয়। সেখানে সেনার দেওয়া NOC-ও অ্য়াটাচ করা হয়। এরপরই মঞ্চ বাঁধা শুরু করে তারা। বিজেপির অভিযোগ, ২ দিন ধরে মঞ্চ বাঁধতে দেখলেও কোনও আপত্তি জানায়নি পুলিশ। শনিবার, দুপুর ১টা থেকে অনুষ্ঠান শুরুর যখন যাবতীয় তোড়জোড় সারা হয়ে গেছে, পুলিশের তরফে চিঠি পাঠিয়ে অনুষ্ঠানে অনুমতি না দেওয়ার কথা জানানো হয়। লালবাজারের তরফে জানানো হয়, দেরিতে আবেদন করায় অনুমতি দেওয়া যায়নি। এবিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “...আমরা সবাই কোলাব্যাঙ। ওঁর সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের কথা হয়, ওঁর সঙ্গে আশা ভোসলের কথা হত। সন্ধ্যাদি ওঁকে গান শিখিয়ে গেছে। অনুপ ঘোষাল ওনাকে সুর দিতেন। উনি একাই গান করবেন। এক মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া প্রোগ্রাম গায়ের জোরে বাতিল করল। এই সরকারের এই কাজ। পুলিশকে ক্যাডারে পরিণত করেছে।’’

শেষবেলায় অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় হতাশ হন দূরদুরান্ত থেকে আসা শিল্পীরা। এদিন বাতিল হলেও, সরস্বতী পুজোর পর নেতাজি ইন্ডোরে এই অনুষ্ঠান আরও বড় করে করা হবে বলে জানিয়েছেন কালকাচাল অ্যান্ড লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গলের সভাপতি ও বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: DA Agitation: বকেয়া DA-র দাবিতে অনড়, এবার আমরণ অনশন শুরু আন্দোলনকারীদের