কলকাতা: ডিএ-র দাবিতে (DA Agitation) আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়াচ্ছে আন্দোলনকারীরা। শহিদ মিনারে ধর্না মঞ্চে গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন ৪ আন্দোলনকারী। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।


তীব্রতা বাড়চ্ছে আন্দোলনের: শুক্রবার মিছিলের পর শনিবার আমরণ অনশন শুরু করেছেন চার জন আন্দোলনকারী। লোকসভা ভোটের আগে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ক্রমশ আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াচ্ছে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। অনশনকারী অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মহার্ঘ রিলিফ ছাড়া, আর কোনও তাঁরা বাজার দরে সাথে সংযোগ রেখে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই রিলিফটা বাড়লে রাজ্যের দৈনন্দিন মজুরিও বৃদ্ধি পায়, রাজ্যবাসীরও উন্নতি হয়।’’                                    

গত বছর ২৭ জানুয়ারি, শহিদ মিনারে আন্দোলন শুরু করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এক বছরেও পূরণ হয়নি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ-র দাবি। তাই বছর ঘুরতে চললেও, এখনও শহিদ মিনারে চলছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পান। আর রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা পান ১০ শতাংশ হারে ডিএ। অনির্দিষ্টকালের অনশনের পাশপাশি, ২৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “এখন রাজনীতি দেখার সময় নয়, পশ্চিমবঙ্গটা ভাসতে বসেছে। এটা শুধুমাত্র ডিএ-র লড়াই নয়। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারেন যে, তাঁর কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে পরে তাঁদেরকে বরখাস্ত করা হবে, সেই রাজ্যে জরুরি অবস্থার থেকে কম কিছু হচ্ছে না।’’


সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আমরণ অনশনে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওঁদের দাবি যুক্তি সঙ্গত। আমরণ অনশনে যাতে না যায় তারজন্য মুখ্যসচিব বা সরকার অবিলম্বে তাঁদেরকে ডেকে আলোচনা করে আশ্বাস দিক। কথাবার্তা বলুক। আমি এই আবেদন করব। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে আবেদন করব। রাজ্যের গভর্নরকে বলব হস্তক্ষেপ করুন।’’


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  

আরও পড়ুন: IAS Success Story: ছোট থেকেই বলতে ও শুনতে অক্ষম ! তার পরও প্রথম চেষ্টাতেই IAS ডি রঞ্জিত