ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : বিকিকিনির অ্যাপে ভুয়ো বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার (Fraud) অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক তরুণকে। অভিযোগ, ওই বিজ্ঞাপনে বিপুল ছাড়ে পণ্য কেনার প্রলোভন দেওয়া হয়।
একাধিক প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে বাঁকুড়া থেকে ১৯ বছরের এক তরণকে গ্রেফতার করল লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। ধৃতের নাম রূপম ওরফে রমাপ্রসাদ সরকার। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে অত্যাধুনিক ডিভাইস, গ্যাজেট, সিম কার্ড, ডেবিট কার্ড, স্ক্যানার, চেক বুক ও প্রায় ৬ লক্ষ টাকা।
এধিকে, জাল ড্রাফটের তদন্তে নেমে ভুয়ো আধার ও প্যান কার্ড বানানোর চক্রের হদিশ পেল পুলিশ। ধৃতের বেহালার বাড়ি থেকে উদ্ধার সরকারি দফতরের রবার স্ট্যাম্প। এই চক্রে আর কারা জড়িত খতিয়ে দেখছে আলিপুর থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে মধ্যমগ্রাম পুরসভার এক কাউন্সিলরের ভুয়ো রবার স্ট্যাম্প। এবং ভূমি ও রাজস্ব দফতরের ভুয়ো স্ট্যাম্প।
আলিপুর থানা সূত্রে খবর, নামী একটি ইস্পাত প্রস্তুতকারী সংস্থা তাদের বাঁকুড়ার ইউনিটকে দেউলিয়া ঘোষণা করে। ইউনিট নিলামের জন্য বিজ্ঞাপন দেয় সংস্থাটি। নিলামে অংশ নিয়ে শেখ সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দাম দেন ১২৩ কোটি টাকা। সাড়ে বারো কোটি টাকার ড্রাফটও দেন তিনি। অভিযোগ, ভাঙাতে গেলে ব্যাঙ্ক জানায় ড্রাফটি জাল। এরপরই শেখ সিরাজুলকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে জেরা করে শিবশঙ্কর দাস নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। শিবশঙ্করের গাড়ি থেকে উদ্ধার একটি ২ কোটি টাকার জাল ড্রাফট। ধৃতদের জেরা করে উঠে আসে নওশাদ আলম নামে আর এক ব্যক্তির নাম।
গেমিং অ্যাপ প্রতারণাকাণ্ডে অভিযুক্ত আমির খানকে হেফাজতে নিল ইডি। আয়ের উৎস সামনে আসেনি, অথচ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা! অপরাধ না করলে কেন পালিয়ে যান আমির খান? প্রশ্ন তুললেন ইডির আইনজীবী। একই ঘটনায় কী করে পুলিশ ও ইডি তদন্ত করতে পারে? পাল্টা প্রশ্ন আমির খানের আইনজীবীর। গত ১০ সেপ্টেম্বর, গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে খাটের নীচ থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
৩ সেপ্টেম্বর, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে অভিযুক্ত আমির খানকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার, ইডির বিশেষ আদালতে তোলা হয় তাঁকে। হেফাজতে চেয়ে ইডির আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, কোটি কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। টাকা পাচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে ডার্ক ওয়েব। আমির খানের আয়ের উৎস সামনে আসেনি, অথচ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। এই টাকা কার? কীভাবে এত টাকা আমির খানের বাড়িতে এল? যদি অপরাধই করেননি, তবে কেন পালিয়ে গেলেন? এদিন, ইডির আইনজীবী আদালতে বলেন, ২০০টি বেসরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের হদিশ মিলেছে।
আরও পড়ুন- 'কয়লামন্ত্রীর সঙ্গে কয়লা পাচারকারী জয়দেব খান কী করছিলেন? ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন কুণালের