কলকাতা: গার্ডেনরিচ অ্যাপ প্রতারণা (Online Fraud Case) মামলায় ধৃত (arrested) আমির খানকে (amir khan) হেফাজতে চাইল ইডি (ED)। এখনও আমিরের আয়ের উৎস জানা যায়নি, দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। তাদের প্রশ্ন, কেন পালিয়েছিলেন আমির খান?  আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর চান তদন্তকারীরা। সব মিলিয়ে ধৃতকে হেফাজতে (custody) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের (interrogation) প্রয়োজন বলে মনে করছে ইডি। ১৪ দিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন আধিকারিকরা। 


যা জানতে চায় ইডি...
তদন্তকারীদের প্রশ্ন, আমির খানের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা এল কোথা থেকে? উদ্ধার হওয়া ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা নেই, দাবি তাঁদের। ইডি আরও জানায়, পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ হল, অথচ কোনও তদন্ত হয়নি। আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বলেন, 'আমির বাড়ি থেকে পালালেন, ধরা হল উত্তরপ্রদেশ থেকে। কেন পালালেন তিনি?' 


প্রেক্ষাপট...
গত সেপ্টেম্বরে কলকাতার বুকে ফের টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছিল। সে বার ব্যবসায়ী বাড়ির খাটের নিচ থেকেও টাকা মেলে। কোটি কোটি টাকা। ক্রিপ্টো কারেন্সি। বেআইনি টাকার স্তূপ। ই-নাগেটস মোবাইল গেমিং অ্যাপ চক্রই হয়ে ওঠে শহর কলকাতার টক অফ দ্য টাউন। শুধু ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ নয়, আরও কোটি কোটি টাকার হদিশ পাওয়া যায় যত তদন্ত এগোয়। ২৩ সেপ্টেম্বর, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে আমিরকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তার পর থেকে প্রথমে পুলিশ হেফাজত ও পরে জেল হেফাজতে আছেন আমির। কলকাতা পুলিশের দাবি, বিদেশ থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চালানো হত প্রতারণা চক্র। গার্ডেনরিচের আমির খান একা নয়, উঠে আসে আরও কয়েকটি নাম। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, প্রতারণা চক্রের জাল ছড়িয়ে বিদেশেও। আগেই আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, দুবাইয়ে বসে রোবোটিক সিস্টেমের মাধ্যমে চালানো হত সল্টলেকের অফিস। বিদেশে বসেই ভারতীয়দের প্রতারণা করা হত। ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে পাচার হয়ে যেত সেই টাকা। গত ১০ সেপ্টেম্বর, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ির খাটের নিচ থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই অনলাইন গেমিং অ্যাপস প্রতারণাকাণ্ডে মূল চক্রী আমির খানের নামে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করে ইডি-র বিশেষ আদালত। শুক্রবারই আমিরকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই মর্মে প্রেসিডেন্সি জেলের জেলারকে নির্দেশ দেয় ইডি-র বিশেষ আদালত। অনলাইন গেমিং অ্যাপস প্রতারণাকাণ্ডে মূল চক্রী আমির খানকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বুধবার আদালতে আবেদন জানায় ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।


আরও পড়ুন:'আপনার বাবা সিনিয়র নেতা, তাঁকে সম্মান করি', শুভেন্দুকে বললেন মমতা