ফের একবার নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র কলকাতা। আরজি কর কাণ্ডের এক বছর পর ঠিক ৯ অগাস্টই মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘৃণ্য অপরাধের সুবিচারের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন মৃতা চিকিৎসকের মা-বাবা। সেই মিছিল ঘিরেই ধুন্ধুমার শহর জুড়ে। অভিযানে অভয়ার মা-বাবা , পরিবার ছাড়াও রয়েছেন সাধারণ মানুষ ও বিজেপি সমর্থকরা। দলীয় পতাকা ছাড়াই যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। 

নবান্ন চত্বরে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই সেখানে কোনও আন্দোলন করা যাবে না। আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। তা সত্ত্বেও ব্যারিকেড ভেঙে নবান্ন অভিমুখে যাত্রা করেছে একের পর এক মিছিল। পার্ক স্ট্রিট থেকে ডোরিনা ক্রসিং, হাওড়া ময়দান থেকে সাঁতরাগাছি , সব জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। লৌহকপাট সরিয়েই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে মিছিল। সাঁতরাগাছিতে লোহার ব্য়ারিকেড শিকল দিয়ে বাঁধা। সেখানে ব্যারিকেডের উপরই উঠে পড়েছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের তরফে ‘শান্তি বজায় রাখুন’, ‘ডোন্ট ক্রস লাইন‘ লেখা ব্যানার থাকলেও, সে-সব তোয়াক্কা না করেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা চলতে থাকে। 

আন্দোলনকারীদের আটকাতে পার্কস্ট্রিটে পুলিশ লাঠি চার্জ করে।  অভিযোগ, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে নবান্ন অভিযানের শুরুতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর পার্কস্ট্রিটে বেঁধে যায় ধুন্ধুমার। বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। বিক্ষোভ শুরু করেন বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, আহতদের বেশ কয়েকজনকে রেলের বিআর সিংহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আবার ভর্তি বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর অভিযোগ, আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় বহু জনকে আঘাত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন বিধায়করা। নির্যাতিতার মা-বাবাকেও মারা হয়েছে। ডোরিনা ক্রসিংয়েও উত্তেজনা ছড়ায় । ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।                         

নিহত চিকিৎসকের মা-বাবার অভিযোগ, তাঁদের দু'জনকেই মারা হয়েছে ধর্মতলায়। ' আমাকে মারা হয়েছে। এই আমার হাতের শাঁখা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই কপালে মারা হয়েছে। এই পিঠে মারা হয়েছে। রাস্তায় ফেলে রীতিমতো আমাকে ৪-৫ জন পুলিশ । কেন আমাকে মারা হল? কেন মেয়েকে খুন করা হল তাঁর কাজের জায়গায়? কেন তখন প্রশাসন তৎপর হল না? প্রশ্ন তুলেছেন অভয়ার মা।