সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: ফের শহরে উদ্ধার টাকা ও প্রায় ৫ কোটি টাকার মাদক (drug recovery)। সল্টলেকের সুকান্তনগরের (sukantanagar) নাওভাঙা এলাকা থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও মাদক উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF Recovers Drug)।
পুলিশের দাবি, মাদক চক্রের পাণ্ডা মহম্মদ মোমিন খান ও তাঁর স্ত্রী মেহতাব।ওই দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল সন্ধেয় সুকান্তনগরে মোমিনের ৫ তলার ফ্ল্যাটে হানা দেয় এসটিএফ। ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে লুকনো মাদক ও টাকা উদ্ধার করে। এই মাদক কোথা থেকে আনা হয়েছিল, কোথায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


কী জানা গেল?
১৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করে এসটিএফ। জানা যাচ্ছে, গোয়েন্দা সূত্র মারফত এই মাদকের খবর পেয়েছিলেন এসটিএফের আধিকারিকরা। স্থানীয়দের দাবি, সুকান্তনগরের যে আবাসনের পাঁচতলার ফ্ল্যাট থেকে মাদক উদ্ধার হয় তাঁর মালিক মহম্মদ মোমিন খানের ব্যবসায়ী বলেই পরিচিত ছিল এলাকায়। বাইরেরে লোকদের আনাগোনা ছিল সেখানে। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করতেন না মহম্মদ মোমিন। এসটিএফ সূত্রে আরও খবর, মোমিনের স্ত্রী মেহতাবই এই মাদকচক্রের কিংপিন। এর আগেও মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন মেহতাব। বছরখানেক আগে সুকান্তনগরের ফ্ল্যাটটি কেনেন ওই দম্পতি। তাঁদের একটি গাড়ি ছিল। তবে বেশিরভাগ সময়ই স্কুটিতে যাতায়াত করতেন।  গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গায় মাদক লুকনো ছিল। কখনও ফলস সিলিং, কখনও ফ্ল্যাটের অন্য জায়গা থেকে মাদক উদ্ধার করেন তাঁরা। আর তাই অভিযান চালাতে ১৪ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। প্রসঙ্গত, এর আগেও কলকাতা শহরে মাদক উদ্ধার ঘিরে বিস্তর হইচই হয়েছে।


আগেও উদ্ধার মাদক...
গত বছর অগাস্টে শহরের রেভ পার্টিতে সরবরাহের জন্য গোয়া থেকে কয়েক লক্ষ টাকার মাদক অর্ডার করেছিলেন শহরের বাসিন্দা দুই যুবক। ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে নিষিদ্ধ মাদক আনার ব্যবস্থা করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের নাম ফৈয়াজ আলম ও মহম্মদ জুনেইদ। সন্দেহ এড়াতে পোস্ট অফিসে ডেলিভারি নেওয়া হয়। আগে থেকে এই নিয়ে খবর ছিল কলকাতা পুলিশের কাছে। সেই পার্সেল এসে পৌঁছলে পোস্ট অফিসে তা নিতে আসেন ফৈয়াজ ও জুনেইদ, খবর পুলিশ সূত্রে। দাবি, পার্সেল নিয়ে বেরোতেই কলকাতা পুলিশের হাতে পাকড়াও হন দুই মাদক পাচারকারী। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্যাংরার বাসিন্দা ফৈয়াজ আলম ও এন্টালির বাসিন্দা মহম্মদ জুনেইদকে জেরা করে তাঁদের বাড়ি থেকেও ১৫ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক এমডিএমএ উদ্ধার । কোন কোন রেভ পার্টিতে মাদক পাঠানোর কথা ছিল, কী ভাবে মাদক আসত, কলকাতার পোস্ট অফিসের মাধ্য়মে আগেও মাদক এসেছিল কিনা জানার চেষ্টা করে পুলিশ।  


আরও পড়ুন:DA নিয়ে আন্দোলন, অথচ বেলা ১২টাতেও দেখা নেই! নবান্নে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী