কলকাতা : আরজি কর মেডিক্যালে ধ্বংসলীলা দুষ্কৃতীদের। পুলিশের গার্ডরেল দিয়ে কোলাপসিবল গেট ভেঙে দেয় তারা। তিনতলায় কব্জা ভেঙে উপড়ে ফেলা হয় তদন্তকারী সংস্থার সিল করা দরজা। চারলতার সেমিনার হলেও ভাঙচুরের পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়ায় রক্ষা পায় সেমিনার হল । পুলিশের সামনেই চলে গুন্ডাগিরি। ইটের ঘায়ে রক্ত ঝরে পুলিশের, মাথা ফেটে যায় মানিকতলা থানার ওসি দেবাশিস দত্তর। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ি, ব্যারাক, ওসির ঘরে তাণ্ডব। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সিসি ক্যামেরার সার্ভার রুম। হামলা থেকে বাঁচতে গাইনি ওয়ার্ড ও লিফটে লুকোতে হল পুলিশকে। ঘটনার পর নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নার্সিং কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে তাণ্ডবকারীদের ছবি প্রকাশ করে তাদের সন্ধান করছে কলকাতা পুলিশ । বেশ কয়েকজনের ছবি দিয়ে তাদের পরিচয় জানা থাকলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। সরাসরি বা সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে জানাতে বলা হয়েছে।



এই ঘটনার পর পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের ফোন করে সিবিআই। যে স্থানে মহিলা ডাক্তারকে অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে সেখানে কি ঢুকতে পেরেছিল দুর্বৃত্তরা ? পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের ফোন করে এমনই জানতে চায় সিবিআই, খবর সূত্রের। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, সেমিনারে হলে ঢুকতে পারেনি দুষ্কৃতীরা।


আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে খুন করে হত্যার ঘটনায় গোড়া থেকেই প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। যদিও এই মামলার তদন্তভার এবার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। দায়িত্ব নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বারবার কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকায় গতকাল মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সিপি বিনীত গোয়েল। 'আমরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করিনি' বলে স্পষ্ট মন্তব্য করেন তিনি। নস্যাৎ করেন একাধিক অভিযোগও। তিনি বলেন,  "কলকাতা পুলিশ কী করেনি ? এই মামলায় সবকিছু করা হয়েছে। প্রমাণ সংগ্রহ করতে আমার কর্মীরা দিনরাত কাজ করেছেন। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা পরিবারকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছি। আমি একটা বিষয় পরিষ্কার, যেটা ঠিক সেটাই আমরা করেছি। এবার সিবিআই তদন্ত করছে। ওরাও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবে। আমরা সিবিআইকে সবরকম সাহায্য করব। আমরা পরিবারের সঙ্গে স্বচ্ছ থেকেছি। প্রত্যেকের সঙ্গে স্বচ্ছ থেকেছি। অন্তর থেকে বলছি, আমরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করিনি। সিবিআই যদি সেটা প্রমাণ করতে পারে...। আমরা দায়িত্বশীল বাহিনী। এভাবে আমরা প্রমাণ নষ্ট করতে পারি না।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।