কলকাতা: মাঝরাতে RG কর মেডিক্যাল কলেজে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলল কয়েকশো লাঠিধারীর তাণ্ডব। ভাঙচুর চলেছে হাসপাতালে পুলিশের আউটপোস্টেও। ভাঙচুর চালানো হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি, বারাক, OC-র ঘর, সিসিটিভি ক্যামেরার সার্ভার রুমেও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ন'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন মানিকতলা থানার OC দেবাশিস দত্ত, মাথা ফেটেছে তাঁর। হাসপাতালে ভর্তি DC নর্থ অভিষেক গুপ্ত। সবমিলিয়ে ১৫ জন পুলিশকর্মী আহত। (RG Kar Ransack)


আর জি করে পুলিশের ওই আউটপোস্টে রাতে থাকতেন পুলিশকর্মীরা। তরুণী চিকিৎসকের হত্যার পর থেকে ওই আউটপোস্টও তদন্তের আওতায় ছিল। পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের ওই আউটপোস্ট। গ্রাউন্ড ফ্লোরের কিছুই প্রায় আস্ত নেই। এমনকি যে সিসিটিভি ছিল সেখানে, উপড়ে নেওয়া হয়েছে। তাই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নয়, পরিকল্পিত ভাবেই হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। (RG Kar Medical Student Death)


আর জি করে গতকাল হামলার সময় বেছে বেছে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি ভেঙে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে। মনে করা হচ্ছে, হামলাকারীদের যাতে চেনা না যায়, তার জন্যই এমন আচরণ, কোথায় কোথায় সিসিটিভি ছিল, জানত হামলাকারীরা। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে পৌঁছন অতিরিক্ত সিপি মুরলিধর শর্মা। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। আজই সম্ভবত বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও পর্যালোচনা চলছে।


আরও পড়ুন: RG Kar Medical Student Death: 'এক মেয়েকে হারিয়েছি, পাশে পেয়েছি কোটি কোটি মেয়েকে', 'মেয়েদের রাত দখল' নিয়ে নির্যাতিতার বাবা


হাসপাতালে কোনও কিছু নিয়ে অভিযোগ থাকলে, আউটপোস্টেই জানানো হয়। সেখানকার চেয়ার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কাচের চুকরো পড়ে রয়েছে সর্বত্র। পুলিশ বারাকের টেবিলে সব ভেঙেচুরে পড়ে রয়েছে। ফোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে, ছিড়ে দেওয়া হয়েছে নথি, একদিকে জড়ো করা অবস্থায় পড়ে রয়েছে পুলিশের ইউনিফর্ম। হামলার সময় CCU-তে আশ্রয় নেন কয়েক জন। সেখানেও হামলা চালানো হয়। পুলিশের দাবি, পুলিশ, চিকিৎসকদের মেরে, জ্বালিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীদের।


জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার দেওয়ার মতো পরিস্থিতি আপাতত নেই আর জি করে। মোডিক্যাল গ্যাস কন্ট্রোল ভালভ, সেগুলিকেও ভাঙচুর করা হয়েছে। আউটপোস্ট ছাড়িয়ে ভিতরে নার্সদের যে চেঞ্জিং রুম, সেখানেও হামলা চালানো হয়। আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা গায়েব হয়ে গিয়েছে। এমার্জেন্সি ল্যাবরেটরিতেও ভাঙচুর করা হয়। ধরে ধরে সিসিটিভি খুলে নেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগের ভেন্টিলেটরেও হামলা চলেছে।