সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: শীতের (Winter in Kolkata) আগে রাজধানীতে দূষণের (Pollution) মাত্রা নিয়ে উদ্বেগের ছবি প্রতি বছরই সামনে আসে। গাড়ির দূষণের সঙ্গী হয় ভেসে আসা ফসলের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়া। প্রায় একই ছবি কলকাতাতেও। শীত এলেই এই শহরেও মাথাচাড়া দেয় দূষণের মাত্রা। এক শ্রেণির নাগরিকের অসচেতনতা যা আরও বাড়িয়ে তোলে। কলকাতা পুরসভার (KMC) তরফে খোলা জায়গায় আবর্জনা পোড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তারপরেও জঞ্জালের স্তূপ জড়ো করে আগুন দিতে দেখা গেল পুরসভার সাফাই কর্মীদের একাংশকে। এমন ঘটনা সামনে আসতে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র পারিষদ।


কী দেখা গেল কলকাতার রাস্তায়:
ফুটপাতের ধারে পোড়ানো হচ্ছে জড়ো করে রাখা আবর্জনার স্তূপ। আর তার জেরেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে ধোঁয়া আর কটূ গন্ধ। হঠাৎ দেখলে মনে হবে কুয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে। কিন্তু আসলে তা দূষণের ধোঁয়া। সোমবার, শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজভবনের সামনে দেখা গিয়েছে এমনই ছবি। 


নিম্নচাপের গেরো কাটিয়ে সবে নামতে শুরু করেছে শহরের তাপমাত্রার পারদ। এর মধ্যেই বাড়তে শুরু করেছেন কলকাতার দূষণ। আর কলকাতা শহরের এদিক-ওদিক, আনাচে-কানাচে শুরু হয়েছে জজ্ঞাল পোড়ানো। বেশ কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছে রাস্তা ঝাঁট দিয়ে, আবর্জনা জড়ো করে, ফুটপাতের ধারে সেই জজ্ঞাল পুড়িয়ে দিচ্ছেন পুরসভারই সাফাই কর্মীরা।


গত কয়েকবছর ধরেই দিল্লিতে দূষণ ছড়িয়ে পড়ার জন্য কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তর পশ্চিম ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে ফসলের গোড়া পোড়ানোর ঘটনা। ঠিক সেরকমই ঘটনা সামনে এল কলকাতা শহরেও। এর আগেও দীপাবলির সময়ে কলকাতা শহরে দূষণের ঘটনা উদ্বিগ্ন করার জন্য যথেষ্ট ছিল। আগেও এমন হয়েছে। সেরকমই এবারের দীপাবলিতেও কলকাতার বাতাসে (Air Pollution in Kolkata) দূষণের মাত্রা ছিল উদ্বেগজনক।  


এরইমধ্যে শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায়, কলকাতা পুরসভার নিষেধ সত্ত্বেও কীভাবে চলছে খোলা জায়গায় জঞ্জাল পোড়ানো? আদতে বাতাসে (Air Pollution) দূষণ ছড়ানোর বিষয়ে সচেতন নন পুরসভা সাফাই কর্মীরাই?


কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, 'দূষণ রুখতে পুর কর্তৃপক্ষ যথেষ্টই কড়া। যাঁরা এসব করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'


শুষ্ক আবহাওয়ায় (Dry Weather) বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঝেমধ্যেই গাড়ির সাহায্যে জল ছেটানোর কাজ করা হচ্ছে কলকাতা পুরসভার তরফে। তবে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনিক তৎপরতার পাশাপাশি, নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতার মনোভাবও প্রয়োজন বলে মনে করছেন পরিবেশবিদদের একাংশ।


আরও পড়ুন: মেলা নিয়ে প্রশাসনকে একগুচ্ছ শর্ত বিশ্বভারতীর, তালিকায় কী কী রয়েছে?