হিন্দোল দে, কলকাতা : গল্পগ্রিনে প্রযোজকের অস্বাভাবিক মৃত্যু (Unnatural Death)। প্রডাকশন হাউসের অফিসের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ঝুলন্ত দেহ। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা? উঠছে প্রশ্ন। 


ছোটপর্দা ও বড়পর্দা, দুইয়েই প্রযোজনার কাজ


স্থানীয় সূত্রে খবর, গল্ফগ্রিনের অরবিন্দনগরের এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রডাকশন হাউস খুলেছিলেন, বেহালার বাসিন্দা, পঙ্কজ দাস (৫৮) নামে ওই প্রডিউসার। ছোটপর্দা ও বড়পর্দা, দুইয়েই প্রযোজনার কাজ করেছেন তিনি। কর্মীদের দাবি, শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ, প্রোডাকশন হাউসের মধ্যে, তাঁরা প্রযোজকের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। MR বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা মৃত ঘোষণা করেন। 


কাজ না থাকায় অবসাদ


সূত্রের খবর, সম্প্রতি তাঁর হাতে সেরকম কাজ ছিল না। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তার জেরেই কি আত্মহত্যা? অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে গল্পগ্রিন থানার পুলিশ। 


কয়েক মাস আগেই হেয়ার স্কুলের (Kolkata Hare School) প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (Teacher Suicide) হয়েছিল। বর্ধমানের মেমারিতে নিজের বাড়িতে মেলে ঝুলন্ত দেহ। অবসরের পর ৩ বছরেও পেনশন না পেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন, অভিযোগ পরিবারের। ২০১৯-এ শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত হন শিক্ষক সুনীলকুমার দাস। পেনশনের জন্য অনেক বার বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন, দাবি মৃত শিক্ষকের স্ত্রী-র। এর পর থেকে দীর্ঘ দিন ধরে শুধু হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। গত তিন বছরে পুরনো স্কুলে গিয়েছেন একাধিক বার। বিকাশ ভবনেও গিয়েছেন বার বার। পেনশন না পেয়ে অসুবিধা হচ্ছে, জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। 


মৃত শিক্ষকের পরিবার আরও জানায়, দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন সুনীলবাবু। একমাত্র ছেলেও পিএইচডি সম্পূর্ণ করেছেন। শীঘ্রই শংসাপত্র পেয়ে যাবেন তিনি। পেনশনের টাকা ছাড়াই সব দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ ভাবে চলতে চলতে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তিন বছরেও পেনশন চালু না হওয়ায় বিধ্বস্ত বোধ করছিলেন। তার ঘটে যে ঘটনা।


এদিকে, মাসখানেক আগে লক্ষাধিক টাকা ঋণ করে বন্ধুকে দিয়ে, সেই টাকা ফেরত না পেয়ে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হন কৌশিক বিশ্বাস নামে এক এসএসবি কর্মী। মৃত ওই এসএসবি কর্মীর বাড়ি নদিয়ার চাকদা থানার চাদুরিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বাসপাড়ায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ২৮ এর কৌশিক ২০১৭ সালে এসএসবি-তে চাকরি পান। বর্তমানে তিনি এসএসবির অসম সদর দফতরে কর্মরত ছিলেন।


আরও পড়ুন- সুস্থ হয়ে ওঠার পথে ডেঙ্গি পরবর্তী জটিলতায় বাড়ছে রোগীমৃত্যু, চিন্তায় চিকিৎসকরা