আবির দত্ত, কলকাতা: টেট আন্দোলনে ধৃতদের বৃহস্পতিবারই জামিন দিয়েছে আদালত। এবার সামনে এল সেই জামিন নিয়ে আদালত কী বলেছে সেই তথ্য।
কী বলেছে আদালত:
ব্যাঙ্কশাল আদালত জানিয়েছে, অরুণিমা পাল সহ ৩০ জনকে হেফাজতে নেওয়ার কারণ দেখছি না। পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন, সেটাকেই বেশি মাত্রায় প্রমাণ করার চেষ্টা হয়েছে। অরুণিমা পাল সহ ৩০ জনকে জামিন দেওয়ার সময় পর্যবেক্ষণ আদালতের। ভুললে চলবে না, আমরা সুস্থ সমাজে বাস করি, আমাদের দাবি জানানোর অধিকার রয়েছে। আদালত তার রায়ে আরও জানিয়েছেন, একটি লাঠিও উদ্ধার হয়নি, বেআইনি জমায়েত বলেও মনে হয়নি। চাকরির দাবিতেই এই আন্দোলন। ক্যামাক স্ট্রিটের ঘটনাকে অপরাধ বলে উল্লেখ করা উচিত হয়নি। অরুণিমা পাল সহ ৩০ জনকে জামিন দেওয়ার সময় পর্ষবেক্ষণ আদালতের। গতকাল অরুণিমা পাল সহ ৩০ জনকে জামিন দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
কী বললেন অরুণিমা:
এদিন অরুণিমা পাল বলেন, 'আমাদের একটা শান্তিপূর্ণ একটা ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল। আমরা নিরস্ত্র ছিলাম। আমাদের ৩০ জনকে জেলে থাকতে হয়েছিল। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে এটা অসত্য। আমরা জামিন পেয়েছি। আমাদের দাবিগুলি ন্যায্য, আমাদের প্রাপ্য। যা ঘটে গেল তা সভ্য সমাজে বেমানান, এগুলো যেন আর না হয়।'
যিনি অভিযুক্ত তাঁর নাম ইভা থাপা। তাঁর অভিযোগ, অরুণিমাই কামড়েছেন। সেই বিষয়ে এদিন অরুণিমা বলেন, 'ওঁর অ্যাগ্রেসিভনেস আগে থেকেই ছিল। আমাদের সঙ্গীদের কাউকে খিমচে দিয়েছেন। আমি দাঁড়িয়েছিলাম। উনি হঠাৎ অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেন। আমি তাঁর প্রতিবাদ করি। কিন্ত ওঁর অ্যাগ্রেসিভনেস কমেনি। আমি বলেছি হেঁটে যাব। তবুও আমায় টানাহিঁচড়ে করতে থাকেন। প্রথমে একবার কামড়ায়, আমি ছুটে বেরিয়ে যাই। পরে আর একজন নীল পোষাকের পুলিশকর্মী আমার সঙ্গে ছিলেন। সেখানে ফের ছুটে এসে কামড়ে দেন ওই পুলিশকর্মী।'
বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ:
এদিনই কামড়-কাণ্ডে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েথে কলকাতা পুলিশ। তদন্ত করবেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সাউথ (২) বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়। কী যোগসাজশ ছিল, কীভাবে গোটা ঘটনা ঘটল, তদন্ত করবেন তিনি। লেডি কনস্টেবলের সঙ্গেও কথা বলবেন পুলিশ আধিকারিক। রিপোর্ট দেওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।
আরও পড়ুন: কামড়-বিতর্কে অবশেষে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল পুলিশ, তদন্তে ডিসি পদমর্যাদার অফিসার