কলকাতা: আর জি কর (R G Kar News) মেডিক্য়াল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের বিচারের দাবিতে ফের পথে নামল সিপিএম। বামেদের মিছিলে ছড়াল উত্তেজনা। একাধিকবার বাধার মুখে পড়লেও ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান তাঁরা।


বিচারের দাবিতে ফের পথে: আর জি কর মেডিক্য়ালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের বিচারের দাবিতে রাজপথে, ক্রমশ বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। মঙ্গলবার সেই দাবিকে সামনে রেখে পথে নামল সিপিএম নেতৃত্ব আর জি কর মেডিক্য়ালে চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের বিচার চেয়ে এদিন পথে নামে সিপিএম। রাজাবাজার থেকে শুরু হয় মিছিল। মিছিলে পা মেলান মহম্মদ সেলিম, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তীরা। খান্নার কাছে পুলিশের ব্য়ারিকেড থাকলেও তা ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে যায় মিছিল। পরবর্তীতে শ্য়ামবাজার মোড় থেকে খানিক আগে ফের পুলিশের ব্য়ারিকেডের মুখে পড়লেও, ব্য়ারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "আমি স্বাস্থ্য়মন্ত্রীর পদত্য়াগ চাই। আসল লোককে ধরুক। সন্দীপ ঘোষকে তো ধরেছে।'' 


মৌন মিছিল করলেন বিজেপি বিধায়করা। অন্য়দিকে, পাশাপাশি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ডাকে ঝাঁটা হাতে মিছিলে হাঁটলেন মহিলারা। মঙ্গলবার বিধানসভায়, ধর্ষণ বিরোধী 'অপরাজিতা' বিল পাস হওয়ার পর, বিধানসভা থেকে ডোরিনা ক্রসিংয়ের বিজেপির ধর্ণামঞ্চ পর্যন্ত মৌন মিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা। দফা এক, দাবি এক, মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্য়াগ, লেখা- টি-শার্ট পরে মিছিলে হাঁটেন বিজেপি বিধায়করা। ন্য়ায়বিচারের দাবিতে, এদিন 'কালচারাল অ্য়ান্ড লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গলের' ডাকে ঝাঁটা হাতে মিছিল করেন মহিলারা। রবীন্দ্রসদন থেকে শুরু হওয়া সেই মিছিলে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেতা অর্জুন সিং, এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারি।                        


এদিকে ফিয়ার্স লেনে গোটা একটা দিন আন্দোলন করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। উর্দি বনাম স্টেথোর লড়াইয়ে প্রতীকী শিরদাঁড়ার সামনে অবশেষে ২২ ঘণ্টা পর নতিস্বীকার করে লালবাজার। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে লৌহকপাট সরায় পুলিশ। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে, তাঁর কাছে তাঁরই পদত্য়াগ দাবি করেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: South 24 Parganas: কর্তব্য়রত চিকিৎসককে 'হুমকি' তৃণমূলকর্মীর, রুখে দাঁড়ালেন রোগীরা