সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: গভীর রাতে দক্ষিণ কলকাতার রামগড় বাজারে বিধ্বংসী আগুন। পুড়ে খাক ৪০ টি দোকান। রাত দেড়টা নাগাদ কয়েকটি দোকানে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় দমকলে, ঘিঞ্জি বাজার এলাকায় মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দমকলের ৭ টি ইঞ্জিনের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কী থেকে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখছে দমকল। 

Continues below advertisement

কিছুদিন আগে আনন্দপুরের গুলশন কলোনিতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। বহুতলের নীচে থাকা রাসায়নিক গোডাউনে লেগেছিল আগুন। ভিতরে প্রচুর দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। এক ঘণ্টা ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। পাশেই দোকান, বসতি থাকায় বেড়েছিল দুশ্চিন্তা।  

সম্প্রতি বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এজরা স্ট্রিটে ফের আগুন লেগে যায়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় বৈদ্যুতিন সামগ্রীর বাজার। দমকলের ২০টি ইঞ্জিনের লড়াইয়ে ভোরে লাগা আগুন নিভল বেলায়। বারবার অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রশ্নের মুখে নজরদারি। এক বছরের ব্যবধানে কলকাতায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ড। আর তাতে কখনও গিয়েছে প্রাণ, কখনও হয়েছে ক্ষয়ক্ষতি।                                           

Continues below advertisement

কিন্তু কেন বারবার বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে? কোথায় দমকল, পুরসভা, পুলিশের নজরদারি? অগ্নিকাণ্ডের পরই কেন যত তৎপরতা? অগ্নিকাণ্ডে রাশ টানতে রাজ্যস্তরে কমিটি গঠন করেছে নবান্ন। বৈঠক হয়েছে পুরসভাতেও। আগুন নিয়ন্ত্রণে নানা প্রস্তাব-পরামর্শ উঠে এসেছে। তারপরও শহরে অগ্নিকাণ্ড কমছে না?                                  

এর আগেও ২০২৪-এর ২৩ অক্টোবর আগুন লাগে এজরা স্ট্রিটে। কাঠের বাক্স তৈরির কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। সেই ঘটনার পর ফের ভয়াবহ আগুন এই এজরা স্ট্রিটেই। সাত সকালে এজরা স্ট্রিটে একটি বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকানে আগুন লাগে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন পৌঁছেছে। দোকানের ভেতর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ভয়াবহ আকার নেয় গোটা এলাকায়। আগুনের গ্রাসে চলে যায় পাশের বহুতল। কালো ধোঁয়ায় ঢাকে আকাশ।