Plastic Surgery: বিরল অস্ত্রোপচারের সাক্ষী থাকল বঙ্গবাসী। রাজ্যে এই প্রথম SSKM-এ হল হাত প্রতিস্থাপন। হাসপাতালের রোনাল্ড রস বিল্ডিংয়ের প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে হয়েছে এই অস্ত্রোপচার।
Hand Donation: কীভাবে সম্ভব হল অসাধ্য় সাধন ?
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল SSKM-এর ট্রমা কেয়ারে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয় এক ব্যক্তিকে। উলুবেড়িয়ার ৪৩ বছরের ওই বাসিন্দার হাতই আজ প্রতিস্থাপনের জন্য় নিয়ে আসা হয়। পরে রোনাল্ড রস প্লাস্টিক সার্জারি বিল্ডিংয়ে ওই হাত প্রতিস্থাপন করা হয়। রাজ্যের চিকিৎসক মহল বলছে,এই প্রথম কোনও ব্যক্তির হাত প্রতিস্থাপনের মতো বিরল অস্ত্রোপচার হল রাজ্যে।
তবে শুধু হাত নয়, ওই ব্যক্তির হার্টও প্রতিস্থাপনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাতাপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে রয়েছে হৃদযন্ত্র। পরে তা হাওড়ার নায়ারায়ণা হাসপাতালে পাঠানো হবে। একইভাবে লিভার ও কিডনিও প্রতিস্থাপনের জন্য সংগ্রহ করা হবে। এসএসকেএম-এর আই ব্যাঙ্কে রাখা হবে কর্নিয়া।
অতীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে মাইলস্টোন তৈরি হয়েছিল রাজ্যে। সেবার পশ্চিমবঙ্গে প্রথম সফলভাবে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেছিলেন চিকিৎসকরা। কলকাতায় মেডিকা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে এক কিশোরের ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়। ভেন্টিলেশনে রাখ হয় বারাসতের বাসিন্দা ওই কিশোরকে।
টানা ৩৬ দিন একমো সাপোর্টে ছিল ওই কিশোর। প্রতিস্থাপনের জন্য টানা ৮ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তারপরে প্রতিস্থাপন সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রথমবার সফলভাবে ফুসফুস প্রতিস্থাপন সফল হয়েছে। মেডিকা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের অস্ত্রোপচারে নতুন জীবন পেয়েছে বারাসাতের কিশোর।
কী ঘটেছিল সেবার ?
জল ভেবে ভুল করে রাসায়নিক খেয়ে ফেলেছিলেন ১৬ বছরের স্বপ্নিল বিশ্বাস। এতে তার দুটো ফুসফুসই বিকল হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট নিয়ে বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই কিশোরকে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মেডিকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিস্থাপনের জন্য ফুসফুস না পাওয়া পর্যন্ত টানা ৩৬ দিন সেখানে একমো সাপোর্ট দিয়ে কৃত্রিমভাবে তাঁর ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রকে সচল রাখা হয়। পরে প্রতিস্থাপব করা হয় ফুসফুস।
আরও পড়ুন : Lung Transplant: রাজ্যে সফল ফুসফুস প্রতিস্থাপন, অসাধ্যসাধন কলকাতার হাসপাতালে