হিন্দোল দে, কলকাতা : বাড়তি কিছু টাকা দিলেই ২ হাজার টাকার পেনশন ডবল হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে এককালীন মিলবে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই টোপ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিককে প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল। প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বারুইপুর পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও নরেন্দ্রপুর থানায় (Narendrapur Police Station) অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
প্রতারিত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী
কেন্দ্রীয় রেশম পর্ষদের যুগ্ম অধিকর্তা পদে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। অবসর নিয়েছেন, বছর ১২ আগে। কেন্দ্রীয় সরকারের পেনশনের পাশাপাশি, মাসে বাড়তি কিছু টাকা হাতে পেতে বেসরকারি সংস্থার পেনশন স্কিমেও লগ্নি করেছিলেন। সেই পেনশন ডবল করার টোপ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিককে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। প্রবীর মিত্র (৭২) প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন, গড়িয়া স্টেশন এলাকায়। একমাত্র মেয়ে থাকেন বিদেশে।
কীভাবে প্রতারণা ?
অবসরপ্রাপ্ত এই কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকের দাবি, ২০১১ সাল থেকে একটি বেসরকারি সংস্থার পেনশন স্কিমে লগ্নি করেন। ৭ বছর লগ্নি করার পর সেখান থেকে মাসে ২ হাজার টাকা পেনশন পেতে শুরু করেন। এরই মধ্যে গত জুলাই মাসে মুম্বই থেকে ফোন করেন এক মহিলা। যে বেসরকারি সংস্থা থেকে পেনশন পান, সেই সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে তিনি পেনশনের অঙ্ক ৪ হাজার করে দেওয়ার টোপ দেন। তারপরেও ফোন আসে বেশ কয়েক বার। বলা হয়, পেনশন তো ৪ হাজার হবেই, সঙ্গে ডিসেম্বর মাসে মিলবে এককালীন ২৪ লক্ষ টাকা। অভিযোগ, এই টোপ দিয়ে ১৬ দফায় হাতিয়ে নেওয়া হয় প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা।
প্রতারিত বুঝতে পেরে অভিযোগ
কিন্তু নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় ফোন আসা। ওই নম্বরগুলিতে ঘুরিয়ে ফোন করলেও যোগাযোগ করা যায়নি কারও সঙ্গে। এর পরই বারুইপুর পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধ। যে বেসরকারি সংস্থা থেকে পেনশন পান, সেখানেও অভিযোগ জানিয়েছেন এই অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক। বৃদ্ধের দাবি, অভিযোগ খতিয়ে দেখার অশ্বাস দিয়েছে ওই সংস্থা। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন- 'পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দিতে বাধা দিলে ওসিকে বেঁধে রাখুন' হুমকি বিজেপি নেতার !