কলকাতা: শহরে ফের পথ দুর্ঘটনা (Kolkata Road Accident)।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই চলে আসেন গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের প্রাথমিকভাবে অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবমিলিয়ে এই ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে পাঁচ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারের হোটরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তাঁরা শোভাবাজারের দিকে থেকে আসছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল ভোরবেলা উত্তর কলকাতার বিবেকানন্দ রোডে দুর্ঘটনা ঘটে। লরি ও গাড়ির সংঘর্ষের জেরে গুরুতর আহত হন এক ফুটপাথবাসী। আহত হন গাড়ির দুই আরোহীও। ভোর ৪টে ২০-তে বিবেকানন্দ রোডে দুর্ঘটনা ঘটে। লরির সঙ্গে সংঘর্ষের পর ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে ফুটপাথে উঠে যায় গাড়ি। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
কয়েকদিন আগে রাতের শহরে জোড়া দুর্ঘটনা ঘটেছিল। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ যাদবপুরের কৃষ্ণা গ্লাসের কাছে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছিল। এক কিশোরী-সহ আহত ৬ জন জখম হন। ঘটনায় লেক গার্ডেন্সের বাসিন্দা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। তিনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে তিনজন সওয়ারি ছিলেন। চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। ধৃতের বিরুদ্ধে সজ্ঞানে অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। গোলপার্কে ফুটপাথে উঠে যায় ভারত সরকারের বোর্ড লাগানো নীলবাতির গাড়ি। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় পাঁচটি দোকান। অল্পের জন্য রক্ষা পান পথচারীরা। ঘটনার পর গাড়ির দুই সওয়ারি পালিয়ে গেলেও বাকি ২ জনকে আটক করে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ।