আবির দত্ত, কলকাতা: শহরে ফের হদিশ মিলল টাকার পাহাড়ের। বড়বাজার থানা (Burrabazar Police Station) থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মিলল হদিশ। সেখানে হানা দিয়ে কলকাতা (Kolkata Police) পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা প্রায় ৫৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল। টাকার উৎস নিয়ে সদুত্তর দিতে না পারায় ন'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা হাওয়ালার টাকা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের (Money Recovered)।
পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা প্রায় ৫৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে প্রায় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ধরে এই অভিযান চালানো হয় কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার তরফে। বড়বাজারের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তাতে মোট ৫৯ লক্ষ ৭৬ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ন'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, মহাত্মা গান্ধী রোড, রবীন্দ্র সরণীর একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েক জনের খোঁজ মেলে, যাঁরা এই টাকার সঙ্গে যুক্ত বলে অনুমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাজার থানার কাছে আমড়াতলা স্ট্রিট থেকে প্রথমে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। পাশের ৮ নম্বর আমড়়াতলা স্ট্রিটের একটি বিল্ডিং থেকে আরও এক ব্যক্তিকে ধরা হয়। শুরুতে রজত আশ নামের ৩৯ বছরের এক ব্য়ক্তিকে ধরা হয়। তাঁর কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকার হদিশ মেলে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজয় শর্মা নামের আরও একজনের হদিশ পায় পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। এর পর বিজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রদীপ চক্রবর্তী নামের আর এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। এ ভাবেই একে একে বাকিদের হদিশ মেলে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: মুকুলকে বিরোধী দলনেতা করতে ধনকড়ের মধ্যস্থতা চেয়েছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া টাকার পাহাড়ের মধ্যে ৫০০, ২০০০, ১০০, ২০০, ৫০ টাকার নোটও রয়েছে।ওই টাকা হাওয়ালার টাকা বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। তবে কী কারণে বিপুল পরিমাণ টাকা মজুত করে রাখা হয়েছিল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। টাকার সপক্ষে কোনও বৈধ কাগজপত্রও অভিযুক্তরা দেখাতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। তাই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের।
গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সোমবার রাতে অভিযান চালানো হয়
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সোমবার রাতে অভিযান চালানো হয়। দীর্ঘ ক্ষণ তল্লাশির পর হদিশ মেলে বিপুল পরিমাণ টাকার। টাকার উৎস খোঁজা হচ্ছে। তবে হাওয়ালার মাধ্যমেই শহরে ওই চাকা ঢুকেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে তারা।