অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সল্টলেক : চাকরি চেয়ে ফের পথে ২০২২-এর TET উত্তীর্ণরা । দ্রুত নিয়োগের দাবিতে পথে নামেন তাঁরা। কবে মিলবে চাকরি ? সেই প্রশ্ন তুলে সরব হন। সল্টলেকে প্রতীকী বেকার মেলা ও চপ ভেজেও প্রতিবাদ জানান TET উত্তীর্ণরা।


এদিন নিয়োগের দাবিতে পথে নামেন ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণরা । সেখানে তাঁরা আলাদাভাবে চপ ভাজার আয়োজন করেন। প্রতীকী বেকার মেলা করেন তাঁরা। একাধিক স্টলে চপ ভাজার সরঞ্জামই শুধু নয়, তা তৈরি করতেও দেখা যায়। তাঁদের বক্তব্য, ২০২২-এ তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁরা আদালতেও গিয়েছিলেন। যেহেতু এখন মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, তাই কোনও মাইক ব্যবহার বা এই জাতীয় কোনও বিশেষ কর্মসূচিতে না গিয়ে, আদালতের অনুমতির ভিত্তিতে তাঁরা ইন্দিরা ভবনের সামনে কর্মসূচি পালন করেন। তাঁদের ইচ্ছা ছিল, এটা তাঁরা বিকাশ ভবনে করবেন। কিন্তু, এখন তাঁরা সেই অনুমতি পাননি। তাই ইন্দিরা ভবনের সামনে অনুমতির ভিত্তিতে কর্মসূচি পালন করেন। 


এক আন্দোলনকারী TET উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী বলেন, "২০১৭ সালের পর দীর্ঘ ৫ বছর রাজ্যে টেট ছিল না। ২০২২-এর ডিসেম্বর মাসে টেট হল। রেজাল্ট পাবলিশ করে দাবি করা হয়েছিল, বছরে ২ বার নিয়োগ। টেট পাস করে কেউ বসে থাকবে না। কিন্তু, টেট পাস করে আমরা অলরেডি দুই বছর পার করে ফেলেছি। ইন্টারভিউ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের কাতর আবেদন, নতুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউটুকু দিন। "


গত বছরও ফেব্রুয়ারিতেই নিয়োগের দাবিতে পথে নেমেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা ( KarunamoyeeTeacher Agitation)। বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল করুণাময়ী। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান ২০২২-এর টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। একেবারে করুণাময়ী মোড়ে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। টেনেহিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভকারীদের সরানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।


তৈরি ছিল বিশাল বাহিনী, RAF। দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল বেশ কয়েকটি বাস। কিন্তু, কোনও ব্যবস্থাই শেষমেশ কাজে আসেনি। রীতিমতো পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। আর এর পর চলে টানাহেঁচড়া, চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যাওয়া। সব মিলিয়ে সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে শোরগোল পরিস্থিতি ছিল, ঠিক সেই সময় নিয়োগের দাবিতে ফের পথে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। অবিলম্বে ইন্টারভিউয়ের দাবিতে, সল্টলেকের এপিসি ভবন অভিযানের ডাক দেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা। সেই কর্মসূচি ঘিরে তুমুল গণ্ডগোলের সাক্ষী থাকেন রাজ্যের মানুষ।


তবে এ রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষায় নিয়োগ ক্ষেত্রে বিক্ষোভ নতুন নয়।