নয়া দিল্লি: জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। জাতীয় দলের মর্যাদা লাভের মাপকাঠিতে ঠাঁই হল না বাংলার (West Bengal) শাসক দলের। অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ও মণিপুরে (Manipur) রাজ্য দলের মর্যাদা হারায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সেইজন্য জাতীয় দলের মর্যাদা লাভের মাপকাঠিতে ঠাঁই হল না বাংলার শাসক দলের। ২০১৬ সালে বাংলা, ত্রিপুরা, অরুণাচল, মণিপুরে রাজ্যদলের স্বীকৃতি পায় তৃণমূল। তারপরই তৃণমূলকে জাতীয় দলের মর্যাদা দেয় নির্বাচন কমিশন। ৭ বছরের মাথায় এই তকমা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস।
৪টি রাজ্যে, এতদিন রাজ্যদলের মর্যাদা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। এখন বাংলা, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে রাজ্যদলের তকমা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল সিপিআই, এনসিপি-ও। দিল্লির পরে পঞ্জাবে সরকার গড়ে তালিকায় এল আপ। ৪টি রাজ্যে, এখন রাজ্যদলের তকমা পেয়ে জাতীয় দলের তকমা পেল কেজরিওয়ালের দল।
এদিকে, জাতীয় দলের তকমা খোয়ানোয় তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন, 'তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়ে এখন আঞ্চলিক দল। মানুষ জানে তৃণমূল সরকার সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত। তোষণ ও সন্ত্রাসের সরকার তৃণমূলের। তাই তৃণমূলের বিস্তারে দিদির আকাঙ্খা বাস্তবায়িত হল না। এখন সরকারের পতনও সময়ের অপেক্ষা। মানুষ বেশিদিন আর এই সরকারকে বরদাস্ত করবে না', ট্যুইট বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
অন্যদিকে, আইনগত ভাবে নির্বাচন কমিশনকে জবাব দেবে তৃণমূল, জানালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
আরও পড়ুন, 'গা জোয়ারি করে ভোট করলে চলবে না, ভোটে লড়তে হবে', তৃণমূল কর্মীদের বার্তা অভিষেকের
জাতীয় দলের তকমা হারানোয় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। 'ত্রিপুরার ভোটের পরই তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি নিয়ে তখনই সোচ্চার হয়েছিলাম। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ তৃণমূলের জাতীয় দলের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার জন্য। নামের সামনে থেকে কবে সর্বভারতীয় শব্দবন্ধ সরাবে তৃণমূল?' এআইটিসি-কে ট্যাগ করে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর।