কলকাতা : শুক্রবার কাকভোরে শিয়ালদা ESI হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন। ভোর ৫ টা নাগাদ নজরে আসে বিষয়টি। তারপর স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তারপর আসে দমকল। সকাল সাড়ে ৭ টার মধ্যে সেখানে পৌঁছেছে দমকলের  ১০টি ইঞ্জিন। ভোর ৫টা নাগাদ হাসপাতালে আগুন লাগে, তবে আগুন এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। 


ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে এক ক্যানসার আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। মৃত ব্যক্তির মেয়ে এবিপি আনন্দকে জানালেন, 'বাবার ক্যানসার ছিল। এখানে ভর্তি ছিল অনেক দিন ধরে। বাবার অবস্থা একটু খারাপ ছিল কিন্তু দমবন্ধ হয়ে মারা গেছে।' যদিও সেই দাবি মানতে চাননি হাসপাতালে সুপার। ওই ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন বলে দাবি তাঁর। আগুন লাগার কারণে নয়, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতালের সুপার অদিতি দাস। 


হাসপাতালের দোতলায় মেল সার্জারি ওয়ার্ডে আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ভোর ৫ টা ৫ নাগাদ আগুন লাগার খবর পায় দমকল। প্রায় ৮০ জন রোগীকে নীচে নামিয়ে আনা হয়। কয়েকজন রোগীকে সরানো হয়েছে মানিকতলা ESI হাসপাতালে।  দমকলের ১০ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।


আগুন লাগার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। শুক্রবার হাসপাতালে যান শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। হাসপাতাল ঘুরে দেখার পরেই নব মহাকরণে জরুরি বৈঠক ডাকেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালের সুপার ও ইএসআই কর্পোরেশনের আধিকারিকরা।  অগ্নিকাণ্ডের জেরে হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ রাখা হয়েছে। 


ESI হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দেখার দায়িত্বে আছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ইএসআই কর্পোরেশন। শুক্রবার আগুন লাগার পরে শিয়ালদা ESI হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একাধিক খামতির অভিযোগ ওঠে।  


২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে আগুন লেগে একাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। বিষাক্ত ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল অনেকের। কিন্তু এবার হাসপাতাল কর্মীদের তৎপরতায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।           


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 

আরও পড়ুন: Bankura News: লাগাতার বৃষ্টির জের, জলের তলায় পড়ে রইল 'ঘরের লক্ষ্মী'