ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: বেশ কিছুদিন ধরে সংক্রমণ কমের দিকেই ছিল। সম্প্রতি ফের সামান্য হলেও বেড়েছে কোভিড সংক্রমণ। আইআইটি কানপুরের একটি গবেষক দলের রিপোর্ট বলছে, আগামী জুনেই দেশে আসতে পারে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ। সেদিকে তাকিয়েই রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সেন্টিনেল সার্ভিলেন্স সমীক্ষা চালিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।


কী মিলেছে সমীক্ষায়?
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য করা ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, 
পজিটিভিটি রেট সবথেকে বেশি ওই স্বাস্থ্য জেলায়। এখানে আক্রান্তের হার শতকরা ১.০৬ শতাংশ। এছাড়া উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলা ও পূর্ব মেদিনীপুর, এই চারটি জায়গা থেকে পাওয়া রিপোর্ট জানাচ্ছে এখানে কোভিডের পজিটিভিটি রেট ০.৪ থেকে ১ শতাংশ। রাজ্যের বাকি ২২টি জেলায় পজিটিভিটি রেট তুলনায় অনেকটাই কম। সেখানে ওই হার ০.৪ শতাংশ। গত ২৭ ও ২৮ এপ্রিল রাজ্যের ২৮টি স্বাস্থ্য জেলার প্রতিটি থেকে দিনে ৪০০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই সেন্টিনেল সার্ভিলেন্সের ফল এই রিপোর্ট। সংক্রমণের হার বুঝতে চলতি মাসের ১৮-১৯ তারিখে ফের সমীক্ষা চালানো হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।


দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে কোভিডের সংক্রমণ ওঠা নামা করেছে। এখনও পর্যন্ত  কোভিডের তিনটি ঢেউ এসেছে দেশে। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারাত্মক ধাক্কা লেগেছে। আক্রান্তের সংখ্যা যেমন লাগামছাড়া ভাবে বেড়েছিল, তেমনই আশঙ্কা বাড়িয়েছিল মৃত্যুর সংখ্যাও। তারপরে দেশে শুরু হয়েছইল টিকাকরণ। দুটি ডোজের পর এবার দেশে শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজও। এরই মধ্যে হানা দিয়েছিল তৃতীয় ঢেউও। ওমিক্রনের দাপটে সংক্রমণ বাড়লেও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো সমস্যা অবশ্য হয়নি। এরপর সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে সবকিছু। যদিও বিজ্ঞানীরা বারবার সতর্ক করেছেন কোভিড সংক্রমণ নিয়ে হেলাফেলা করলে বিপদ বাড়াতে পারে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ। সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝতে পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, 'কোভিড আছেই। পরীক্ষা বাড়ানো দরকার।' সেই কারণেই আগেভাগেই সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি। 


আরও পড়ুন: দু'দিনের 'শাহি' সফর শুরু আজ, অভিভাবকের খোঁজে বঙ্গ-বিজেপি!