কলকাতা: প্রতারকদের ফাঁদে সঙ্গীতশিল্পী রাতুল পর্বত। তাঁর অভিযোগ, ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিতে চেয়ে বেসরকারি সংস্থার নামে ফোন ও হোয়াটসঅ্য়াপ মেসেজ আসে। বিপুল টাকার অফার গ্রহণ করতে লিঙ্ক পাঠানো হয়। অভিযোগ, লিঙ্কে ক্লিক করার পর থেকে ফেসবুক পেজের নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছে প্রতারকদের হাতে। লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানায় দায়ের করেছেন অভিযোগ।


রিয়েলিটি শো-য়ের সূত্রে নামডাক। কনসার্ট করেছেন দেশে-বিদেশে। অনুরাগীদের জন্য গানের ভিডিও নিয়মিত পোস্ট করতেন ফেসবুক পেজে। সেই গান শুনেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিন্তু, সেটাই যে এমন কাল হয়ে দাঁড়াবে ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি সঙ্গীতশিল্পী রাতুল পর্বত। 


প্রতারণার ফাঁদে সঙ্গীতশিল্পী। শিল্পীর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন আগে তাঁর কাছে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। তাঁর অভিযোগ, একটি বেসরকারি সংস্থার নামে ফোন করে তাই পেজে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করা হয়। 


অফার করা হয় বিপুল অঙ্কের টাকা। সঙ্গীতশিল্পীর দাবি, তিনি রাজি হওয়ায় বিজ্ঞাপন দিতে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয়। সেই লিঙ্কে ক্লিক করার পর থেকেই ফেসবুক পেজের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় প্রতারকদের হাতে। সেই ফেসবুক পেজে ক্রমাগত পোস্ট করা হচ্ছে আপত্তিকর ছবি, ভিডিও। রাতুলের দাবি, লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ করেও এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।


ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করার নামে প্রতারণা: প্রতারণার শিকার (cyber fraud) স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ, ক্রেডিট কার্ড বন্ধ করে দেওয়ার অছিলায় তাঁর দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল জালিয়াতরা (90 Thousand Rupees Have Been Duped)। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাঁতন থানার ঘটনা। অভিযোগকারী দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালেরই এক কর্মী।


কী ঘটেছে?
অভিযোগকারীর নাম দেবব্রত পড়্যা। দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালের ওই স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছেন, এসবিআই ব্যাঙ্কে তাঁর দুটি অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট কার্ড চালু রয়েছে। কিন্তু তিনি সেই কার্ডগুলি ব্যবহার করেন না। তাই দীর্ঘ দিন ধরেই কার্ডগুলি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলি কোনও কারণে বন্ধ করতে না পারেননি। এর মধ্যে হঠাতই একটি ফোন আসে যেখানে ওপার থেকে জানানো হয় যে ব্যাঙ্ক থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অভিযোগ, ফোনে জানতে চাওয়া হয় যে ক্রেডিট কার্ডটি তিনি বন্ধ করতে চান কিনা। দেবব্রত তাতে সম্মতি জানালে অপর প্রান্ত থেকে কয়েকটি নির্দেশ আসে। বলা হয়, স্বাস্থ্যকর্মী যেন প্রথমে তাঁর অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনটি অন করেন। এর পরে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। অ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে গেল  Yono এসবিআই তাঁর এন্ড্রয়েড সেটে খুলতে বলার নির্দেশ আসে। তারপরই ক্রেডিট কার্ডের বন্ধের পরবর্তী পদ্ধতি বাতলে দেওয়া হয়। এর পর জানতে চাওয়া হয়, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মোবাইলে কোনও মেসেজ ঢুকেছে কিনা। সঙ্গে ওটিপি-ও জানতে চাওয়া হয়। দেবব্রতর দাবি, তিনি তখনও বুঝতে পারেননি যে প্রতারকের ফাঁদে পড়ে গেছেন। ওটিপি-টি বলে দেন। বিপত্তি এখানেই। অভিযোগ, এর পরেই এসবিআইয়ের  দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে নয় দফায় ৮৯ হাজার ৮২৮ টাকা টাকা ট্রান্সফার হয়ে যায়। তিনি ব্যাঙ্কে যখন পাসবই আপডেট করতে যান, তখন দেখেন দুটি অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নেই। গত কাল রাতেই দাঁতন থানায় ব্যাঙ্কের ডিটেলস-সহ লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।