ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: রাতের শহরে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ৬ জায়গায় ছিনতাই। ধৃত দুই ছিনতাইবাজ। উদ্ধার মোবাইল ফোন সহ ছিনতাই হওয়া জিনিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ছিনতাইবাজদের স্কুটার।
কালপ্রিট মাত্র ২ জন। গভীর রাতে মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যেই শহরের ৬ জায়গায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ল ২ ছিনতাইকারী।উদ্ধার ছিনতাইয়ের জিনিসপত্র। বাজেয়াপ্ত স্কুটার। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘটনাগুলি ঘটে কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনের চিৎপুর, বিটি রোড সহ ৬টি জায়গায়। রাত ১২টা নাগাদ শেষ ঘটনাটি ঘটে চিড়িয়ামেড়ে। চিৎপুর থানার পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছিনতাইবাজদের চিহ্নিত করে পোস্তা থেকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতেরা হল অমিত মণ্ডল (২২) এবং রাজবীর মালি (২৩)।
এদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পেরোতে গিয়ে জীবনই চলে গেল মহিলার। স্বামীর চোখের সামনে মর্মান্তিক মৃত্য়ু হল স্ত্রীর ।বসিরহাটে বাপের বাড়ি থেকে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফিরে লোনের কিস্তি দেওয়ার কথা ছিল। সময় বাঁচাতে শর্টকাট নিয়েছিলেন, সেটাই কাল হল, গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে প্রাণটাই চলে গেল লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ির বাসিন্দা সুষমা প্রসাদের। সাত সকালে তাড়াহুড়োর মধ্যেই বিধাননগর স্টেশনে নেমেছিলেন সুষমা। একটু সময় বাঁচাতে এই রেললাইন ধরেই এগোচ্ছিলেন। বিধাননগর স্টেশন থেকে লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ির দিকে যাওয়ার পথে ছোট একটি খালের ওপর রয়েছে এই রেলব্রিজ। সেখানে ওঠার পরেই ঘটে গেল চরম অঘটন। উল্টোডাঙার ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামার পরে এই রেলব্রিজ ধরে তাঁরা যখন হেঁটে তাদের ঋষি অরবিন্দ কলোনিতে যান, এই লাইন পার করার পরে বিপরীত দিক থেকে শিয়ালদাগামী ডাউন ট্রেন আসে, সুষমা প্রসাদ প্রাণভয়ে ব্রিজের নীচে ঝাঁপ দেন। নীচে পড়েই তার মৃত্যু হয়। স্বামী বিকাশ প্রসাদও হাসপাতালে ভর্তি। পাথরের ওপর ছিটকে পড়ে আহত হয়েছেন তিনি।
রেললাইন পারাপার যে প্রচন্ড ঝুঁকির একথা সব নিত্যযাত্রীরাই জানেন। তবুও অফিস টাইমে সময়ে বাঁচাতে ওই পথই ধরেন সকলে। বহু দিন ধরে এই পথে একটি ফুট ওভারব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা। বছরের পর বছর পেরোলেও ফুট ওভারব্রিজ আজও মেলেনি। এই দুর্ঘটনার পরে টনক নড়বে প্রশাসনের? অপেক্ষায় রয়েছেন কয়েকশো স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রী।