সুমন ঘড়াই, সঞ্চয়ন মিত্র, রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: বিজেপির ডাকা বনধে কোনও প্রভাব পড়ল না নবান্ন ও মহাকরণে। কাজে যোগ দিলেন কর্মীরা। নব মহাকরণেও উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। বনধের প্রভাব পড়েনি সেক্টর ফাইভেও।  


রোজকার মতোই কর্মস্থলে এলেন কর্মীরা। অফিসের ভিতরে চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততা। সোমবার বিজেপির ডাকা বনধ ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় যখন অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে, তখন একেবারে উল্টো ছবি দেখা গেল নবান্ন, মহাকরণ, সেক্টর ফাইভে। 


১০৮টি পুরসভার ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে, সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকে বিজেপি। বনধ মোকাবিলায় আগেই কড়া পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার। নবান্নর তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, 


বন্‍‍ধের দিন সরকারি কর্মীরা না এলে বেতন কাটা হবে ও চাকরি জীবন থেকে এক দিন বাদ যাবে। তবে কোনও কর্মী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, পরিবারের কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে কিংবা মৃত্যু হলে অথবা ২৫ ফেব্রুয়ারির আগে থেকে ছুটিতে থাকলে বা আগে থেকে মঞ্জুর হওয়া ছুটিতে থাকলে তিনি এই নিয়মের আওতায় পড়বেন না।


সোমবার নবান্নে দেখা গেল, অন্যান্য দিনের মতোই কাজে যোগ দিয়েছেন কর্মীরা। মহাকরণ ও নব মহাকরণেও উপস্থিতির হার ছিল আর পাঁচ দিনের মতোই। একই রকম ছবি ধরা পড়েছে সেক্টর ফাইভেও। 


পুরভোটের (WB Municipal Polls 2022) অশান্তির রেশ রইল একদিন পরেও। দফায় দফায় অশান্তির খবর উঠে এল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তা থেকে বাদ গেল না পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur News) ঘাটালও (Ghatal News)। সেখানে রাস্তায় অবরোধে বসে বিজেপি (BJP)। সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা।


ঘাটালের কুশপাতা বাসস্ট্যান্ডের ঘটনা। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের নেতৃত্বে অবরোধ চলছিল রাজ্য সড়কে। তাতে সকাল থেকে দুর্ভোগ চরমে ওঠে। অবরোধ তুলতে শেষমেশ এগিয়ে আসতে হয় পুলিশকে। তাতেই বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় অবরোধকারীদের মধ্যে তেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।