কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: আজও বন্ধ থাকল কলকাতার নামী তিনটি স্কুল (School) ও তাদের ৬টি ক্যাম্পাস (Campus)। কবে খুলবে স্কুল, উত্তর মিলল না তার। দ্রুত স্কুল খুলে যাক, চাইছে পড়ুয়ারা (students)। পুরো ফি দিয়েও তাঁরা বঞ্চিত হবেন কেন? প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকদের (parents) একাংশ। তবে মুখ খুলছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ (school authority)।


দু'দিন পরও বন্ধ শহরের তিনটি নামী স্কুল


বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও বন্ধ থাকল কলকাতার তিন নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। তালা পড়েছে তিন স্কুলের ৬টি ক্যাম্পাসে। প্রত্যেক স্কুলের দরজায় টাঙানো রয়েছে স্কুল বন্ধের নোটিস।


মিন্টো পার্কের 'অশোক হল গার্লস হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল'-এর মূল গেটের বাইরে রয়েছে পুলিশি প্রহরা। কিন্তু কবে খুলবে স্কুল? ২ দিন পরও তার উত্তর মিলল না। 


মূল ফটকে তালা দেওয়া রয়েছে। পর্দা দেওয়া হয়েছে যাতে স্কুলের ভিতরের ছবি না তোলা যায়। নতুন করে সেই নোটিস দেওয়া হয়েছে। আজ খাঁ খাঁ করছে স্কুল ক্যাম্পাস। বাস দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু কোথাও কোনও পড়ুয়া নেই। বরং রয়েছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।


একই হাল জিডি বিড়লা ও মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহারের। করোনা আবহে প্রায় ২ বছর পর, সবে খুলেছিল স্কুল। কিন্তু সশরীরে তিন দিন ক্লাস করার পর, ফের স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাঁফিয়ে উঠেছে জিডি বিড়লার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ঋষিতা মালাকার ও  মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহারের নবম শ্রেণির ছাত্রী অনন্যা দে। 


আরও পড়ুন: Bikash Mishra Arrested: গরুপাচার মামলায় বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার করল সিবিআই


অভিভাবকদের একাংশের কী অভিযোগ?


অভিভাবকদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, যাঁরা পুরো ফি দিয়েছেন, তাঁরা কেন সমস্যার মুখোমুখি হবেন? কতিপয় অভিভাবকের দায় কেন হাজার হাজার পড়ুয়ার উপর পড়বে?


জিডি বিড়লার পড়ুয়ার অভিভাবক অমৃতা সিংহ রায় বলছেন, 'কয়েকজন অভিভাবকের জন্য এতগুলি বাচ্চা কেন সমস্যায় পড়বে?'


মহাদেবী বিড়লা শিশুবিহারের পড়ুয়ার অভিভাবক সাথি দের কথায়, 'স্কুল কর্তৃপক্ষের গোটা বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়া উচিত।'


শহরের বুকে বেনজিরভাবে বন্ধ এতগুলি স্কুল। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার বিষয়টির উপর নজর রাখছে। রবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাদের দেওয়া নোটিসে উল্লেখ রয়েছে, 'স্কুলের বাইরে বিক্ষোভের কারণে আইন-শৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি হয়েছে, পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে, পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত বাধ্য হয়ে আমাদের স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।'