পার্থপ্রতিম ঘোষ, ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: মালবাজার বিপর্যয়ের (Jalpaiguri Flash Flood) পরও ফেরেনি হুঁশ। এ বার নিমতলা গঙ্গার ঘাটে (Nimtala Ghat) তলিয়ে গেলেন পাঁচ যুবক (River Ganga)। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি বাকি তিনজনের। বানের জলে তাঁরা ভেসে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের খোঁজে শুরু হচ্ছে তল্লাশি অভিযান। বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও তাঁরা কথা শোনেননি। সেলফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। তাতেই বিপত্তি ঘটে বলে অভিযোগ (Kolkata News)।


দেহ সৎকার করতে এসে বানের জলে ভেসে গেলেন যুবকেরা


সোমবার রাতে নিমতলার ঘাটে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহ সৎকার করতে এসেছিলেন ওই পাঁচ যুবক। সেই সময় গঙ্গার ঘাটের সিঁড়িতে সেলফি তুলতে গিয়েই বিপত্তি বাধে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের তৎপরতায় দু’জনকে উদ্ধার গিয়েছে। তার পর সকাল হয়ে গেলেও, বাকি তিনজনের হদিশ মেলেনি। 


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকরা সকলেই বেলেঘাটার শিবতলা এলাকার বাসিন্দা। নিমতলা শ্মশানে কাঠের চুল্লীতে সৎকার চলছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১০টা বেজে ২৩ মিনিট নাগাদ গঙ্গায় বান আসে। সেই সময় ঘাটে বসে গল্প করছিলেন ওই পাঁচ যুবক। সেই সময় নদীতে বান আসে। জলের তোড়ে ভেসে যান তাঁরা। 


আরও পড়ুন: Sujan Chakraborty : 'অনেক দেরি হয়ে গেল, অনেক তথ্য হাপিস করেছেন' মানিক গ্রেফতারিতে আক্রমণ সুজনের


এই ঘটনায় উত্তর বন্দর থানার তরফে যদিও দাবি করা হয়েছে যে, বামন আসার আগে নিয়মমাফিক সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন ওই যুবকরা। তাতেই বিপত্তি ঘটে। জলের তোড়ে ভেসে যান সকলে। বানের সময় গঙ্গার জলস্তর প্রায় কয়েক ফুট বেড়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।


ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল রাতেই নিমতলা ঘাটে পৌঁছয় উত্তর বন্দর থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের একটি দল। সেখানে দীর্ঘ ক্ষণ তল্লাশি চালানো হয় রাতেই। সকালে ফের উদ্ধারকার্য চালানোর প্রস্তুতি চলছে। গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে ওই তিনজনের খোঁজে শুরু হতে চলেছে তল্লাশি অভিযান।


এর আগে, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে বিপত্তি বাধে জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। হড়পা বানের তোড়ে ভেসে গিয়ে তলিয়ে যান বেশ কয়েক জন। কমপক্ষে আট জনের মৃত্যু হয় সেই ঘটনায়। আচমকা হড়পা বানের জেরেই বিপত্তি ঘটে।


বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও বিপদ উপেক্ষা!


মালবাজারের ঘটনায় নদীর পাড়ে প্রায় ১ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই নিয়ে মাইকিং করে প্রশাসনের তরফে সতর্কতা অভিযানও চালানো হয় বলে জানা যায়। তার পরও ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। যদিও এর জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা।