কলকাতা: সাময়িক ঝড়ে লন্ডভন্ড অবস্থা জেলার। তিন জেলায় মারা গিয়েছেন তিন জন। শহর কলকাতাতেও বজ্রপাতে বিপত্তি। কলকাতার ধর্মতলায় মেট্রো মলের উপর বাজ পড়ে বিপত্তি বাধে। বাজ পড়ে ভেঙে গিয়েছে স্তম্ভের একাংশ। সেই ভাঙা অংশ উপর থেকে ছিটকে পড়ে রাস্তায়। অল্পের জন্য রক্ষা পান স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং পথচারীরা। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। (Kolkata Thunderstorm)
পর পর বেশ কয়েক দিন তীব্র দাবদাহের পর, রবিবার সকাল থেকেই ভার ছিল আকাশের মুখ। জেলায় জেলায় যেমন ঝড়ের দাপট দেখা গিয়েছে, ততটা না হলেও, বৃষ্টিতে ভেজে শহর কলকাতাও। পর পর বেশ কয়েক বার বজ্রপাতের তীব্র শব্দও কানে আসে। সেই আবহেই দুপুর ১টা নাগাদ বিপত্তি বাধে। এদিন দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ মেট্রো সিনেমা হল, যা এখন মেট্রো মল নামে পরিচিত, তার মাথায় বজ্রপাত ঘটে। (Kolkata News)
এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, মেট্রো মলের একটি স্তম্ভের উপরের অংশে হঠাৎই বিদ্যুতের ঝলকানি দেখানো যায়, সঙ্গে কান ফাটানো শব্দ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং পথচারীরা দেখেন, মুহূর্তের মধ্যে একেবারে বুলেটের গতিতে পাথরের খণ্ড উপর থেকে ছিটকে পড়তে শুরু করেছে। প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে উপরের দিকে তাকালে দেখা যায়, স্তম্ভের উপরের দিকের অংশ ভেঙে পড়েছে। সেখান থেকেই কংক্রিটের টুকরো ছিট পড়েছে রাস্তায়।
মেট্রো মল থেকে ওই ভাঙা অংশ প্রায় ১০০ মিটার দূর পর্যন্ত ছিটকে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। গাড়ির উপরও ভাঙা অংশ ছিটকে পড়ে। যে সময় এই ঘটনা ঘটে, সেই সময় ভাল বৃষ্টিও চলছিল। তাই রাস্তা তুলনামূলক ফাঁকা ছিল। তাতেই কেউ আঘাত পাননি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। কোনও রকমে বড় অঘটন এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
রবিবার সকালে আচমকাই ঝড় নেমে আসে, পর পর বজ্রপাতও ঘটে, যার প্রভাব পড়েছে একাধিক জেলায়। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক কৃষকের। মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তারকেশ্বরে পিয়াসাড়াতেও মাঠে কাজ করতে গিয়ে এক যুবক মারা যান বজ্রাঘাতে। বর্ধমানের মেমারিতেও এক ব্যক্তি বজ্রাঘাতে মারা গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তিন জেলা থেকে তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলছে।